ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএলএড (D.El.Ed) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় বলে দাবি। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্তের আশ্বাস দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এটা প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, বিশ্বাসঘাতকতা। অভিযোগ প্রমাণ হলেই কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ মেলে ডিএলএড কোর্সে। দু’বছরের কোর্সে চারটি সেমেস্টার হয়। সোমবার এডুকেশনাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অন্য সেন্টারে এবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছিল কড়া নিরাপত্তাও। তবু এদিন পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পোস্ট করা হয়। এনিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাহলে কি শত চেষ্টা করেও প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানো গেল না?
পরীক্ষা শেষের পর দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে পরীক্ষার প্রশ্ন। যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। পরীক্ষা শেষের পরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। জানান, “১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। ১১টার মধ্যে সকল পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে ঢুকে পড়েছিলেন। ফলে সামান্য় কিছু সময়ের মধ্যে সকল পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নপত্র দেখে পরীক্ষা দিয়েছেন, এটা মানি না।”
গৌতম পাল আরও জানান, পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ জানালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। তারা দেখবেন ব্যাপারটা। একইসঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, “দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। যারা প্রশ্ন তৈরি করছে গোপনীয়তা তাদেরও দায়িত্ব। এটা প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়ক, পর্ষদের-সরকারের সম্মানহানির চেষ্টা।”
প্রসঙ্গত, পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ডিএলএড কলেজগুলি থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ডিএলএড কলেজে বেনিয়মের হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থারা। এবার ফের সেই ডিএলএড পরীক্ষাপ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.