গোবিন্দ রায়: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হতেই ঘাটালের ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় এবার সবপক্ষকে যুক্ত করতে নোটিস ইস্যু করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক। অর্থাৎ দেব(Dev) অর্থাৎ দীপক অধিকারীকেও যুক্ত করা হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর।
গত লোকসভা নির্বাচনে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করেও বাংলায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারেনি পদ্মশিবির। ৪২টির মধ্যে মাত্র ১২ টি আসন তাঁদের দখলে। ঘাটালেও প্রচুর ব্যবধানে জিতেছেন দেব। তার পরই ঘাটালে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় ঘাটাল লোকসভার সব ভোট কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ, ডিভিআর, ইভিএম, ব্যালট, অফিস নোট, নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণ রাখার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। এই সংরক্ষণের দায়িত্বে নির্বাচন কমিশন। এই মামলায় সব পক্ষকে যুক্ত করতে নোটিস ইস্যু করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক।
আদালত সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে ফরেনসিক পরীক্ষা নিয়ে আগামী শুনানিতে আলোচনা হবে। পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত, হিরণের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের দিন কেশপুরে প্রশাসনের ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। এর জন্য কেশপুরের মানুষের কাছে ক্ষমাও চান তিনি। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বলেছিলেন, ‘‘কেশপুরের বুথের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে কীভাবে তৃণমূল কর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু পর্যবেক্ষক বা রিটার্নিং অফিসার কেউ শোনেননি। সমস্ত ইভিএম মেশিন সিল করে চলে যান। কেশপুরে ২০০ বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল। ’’ সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সিসিটিভি ফুটেজ, ডিভিআর, ইভিএম, ব্যালট, অফিস নোট, নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণ রাখার নির্দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.