সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রাবণের ঘন কালো আকাশের ব্যাকগ্রাউন্ডে ফের আসছে পুজো। সারাদিন রিমঝিম শব্দের মধ্যেই জেগে উঠেছে কলকাতার পুজোর আঁতুড়ঘর কুমোরটুলি। তবে শুধুই বৃষ্টি নয়, এ বছর কুমোরটুলির শিল্পীদের ভাবাচ্ছে আরও এক সমস্যা। মাটির সমস্যা। হ্যাঁ, খড়ের উপর মাটির প্রলেপ পড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ মাটি সে মাটি নয়, যা প্রতিবার আসে উলুবেড়িয়া থেকে, জলপথে। তার বদলে এবার প্রতিমা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার থেকে সড়কপথে আসা মাটি। আর এ মাটি আগের মাটির মতো নয়। রয়েছে একাধিক সমস্যা।
[কলকাতায় এসে নিশ্চিন্তে ‘সন্ধ্যা’ দেখল কাশ্মীরের তরুণ ফুটবলাররা]
বিজয়া দশমীর পরপরই দেওয়া হয়ে যায় পরের বছরের পুজোর মাটির অর্ডার। আগামী বছরের মূর্তির প্রস্তুতি শুরু করে দেন শিল্পীরা। গত বছর পর্যন্ত প্রতিমা তৈরির মূল উপাদান এঁটেল মাটি আনা হত উলুবেড়িয়া থেকে। কিন্তু এখন সেই মাটি আনতে হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার, রায়চক থেকে। জিতেন পাল অ্যান্ড সন্স-এর নব কুমার পাল জানান, পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী টালবাহানায় উলুবেড়িয়ায় পঞ্চায়েত গঠন হয়নি। তাই সেখানে মাটি কাটায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনিতেই জলপথে আসা মাটির দাম বেশি। আর এখন যখন সড়কপথে ডায়মন্ড হারবার থেকে মাটি আসছে, তার খরচ অনেকটাই কম। এ জন্যই শিল্পীরা এই মাটির দিকে ঝুঁকছেন।
কিন্তু দুই মাটির গুণগত মানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। কারণ উলুবেড়িয়ার এঁটেল মাটিতে চিট বেশি। সে মাটিতে কাঁকড়ও কম। তাই তা দিয়ে প্রতিমা গড়া সুবিধাজনক। ডায়মন্ড হারবারের মাটি একটু লালচে। তাতে চিট কম, আবার কাঁকড়ও বেশি। ফলে সে মাটি দিয়ে মূর্তি গড়া বেশ কঠিন। টান ধরলে মূর্তি সঠিক আকার পাবে কি না, তা আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। বিশেষ করে মুখ, আঙুল তৈরিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এরপরও শিল্পীরা ডায়মন্ড হারবারের মাটিই বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। একদিকে উলুবেড়িয়ার পঞ্চায়েতের সমস্যা আর অন্যদিকে খরচ বেশি হওয়ার কারণে এই পালাবদল। এতকিছুর পরও ঠিক সময়েই দেবী দুর্গা রওনা দেবেন মণ্ডপ, দালানের উদ্দেশ্যে। মাটি সমস্যার জন্যে পুজো মাটি হবে না মোটেই।
[সিসিডি-বারিস্তার যুগেও ইতিহাসের আভিজাত্যে গর্বিত ‘ফেভারিট কেবিন’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.