স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য সরকারের অভিনব উদ্যোগে দুর্দশা থেকে রেহাই পেল এক পরিবার। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে ফোন করে এবার সরকারি চাকরি পেলেন দুর্ঘটনায় পা হারানো এক যুবক। ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরে চাকরির নিয়োগপত্র ওই যুবকের হাতে তুলেও দিয়েছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বেহালা সরশুনার রায়দিঘির বাসিন্দা সুরজিৎ হালদার। তারাতলার বেসরকারি সংস্থায় ‘ডেলিভারি বয়’ হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গত ৩ জানুয়ারি এমনই কাজ শেষ করে মোটরবাইক চালিয়ে বেহালার বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা তারাতলার মোড়ে পিছন থেকে একটি ফোর্ড গাড়ি সুরজিতের বাইকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ছিটকে পড়েন তিনি। পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় আরও একটা গাড়ি। ওই দুর্ঘটনায় দু’ টুকরো হয়ে যায় তাঁর ডান পা। ভরতি হন একবালপুরের নার্সিং হোমে।
মাস তিনেক পর সংক্রমণের জেরে ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে বাদ দিতে হয়। স্বভাবতই মোটরবাইক চালানো বন্ধ হয়ে যায় সুরজিতের। থমকে যায় পরিবারের রোজগার। পুত্র জিৎ ও স্ত্রী সুস্মিতা ছাড়াও বাবা-মাকে নিয়ে চরম আর্থিক কষ্টে পড়ে হালদার পরিবার। এরই মধ্যে গত ২৮ নভেম্বর রায়দিঘি এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান স্থানীয় বিধায়ক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চোখের সামনে ডান পা হারানো সুরজিৎকে দেখেছিলেন। তারপর তাঁর পরিবারের দুর্দশার কথা শুনে সেখানেই ব্যবস্থার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। দিন কয়েক আগে সুরজিৎকে নিজের নাকতলার বাড়িতে ডেকে পাঠান শিক্ষামন্ত্রী। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ব্যানার্জিহাটে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন তিনি। চাকরি পেয়ে সুরজিৎ জানিয়েছেন, “দিদিকে বলো কর্মসূচী আর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার পরিবারকে বাঁচিয়ে দিলেন। চাকরি না হলে, আমাদের হয়তো না খেতে পেয়েই মরে যেতে হত।” ‘দিদিকে বলো‘র উদ্যোগে যারপরনাই খুশি বেহালার সুরজিতের পরিবার। ধন্যবাদ জানাল মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.