ছবি প্রতীকী
কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: প্রাথমিকে (Primary TET) শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশের পর আরও বিপাকে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। সপ্তাহখানেক আগে প্রকাশিত চাকরির তালিকায় ১৫২৮৪ জনের নাম উঠেছিল।তাঁদের মধ্যে অনেকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাক পাওয়ার অপেক্ষায়। আবার অনেকেই অ্যাপয়ন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে স্কুলে যোগ দিয়েও ফেলেছিলেন।এরপর একটি মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) গোটা প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ঘোষণা এবং তার সূত্র ধরে জেলায় জেলায় স্কুল ইন্সপেক্টরদের নতুন নির্দেশিকা পাঠানো হল ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। তাতে জানানো হয়েছে, ২০১৪ টেটের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতনের বিল পাঠানো স্থগিত রাখতে হবে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর চাকরি পেয়ে স্বস্তির শ্বাস নিয়েছিলেন হাজার হাজার প্রার্থী। সেই প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় আপাতত ফের বিশ বাঁও জলে চলে যায় ১৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ। বুধবার পর্যন্ত অনেকে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন স্কুলে। তাঁরা কোনও নির্দেশ না পেয়ে বুধবার পর্যন্তও স্কুলে গিয়েছিলেন। স্কুলগুলির কাছে যোগদান ও বেতন সংক্রান্ত স্থগিতাদেশের পরও কোনও সরকারি নির্দেশ ছিল না। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশিকা চলে আসার পর বিষয়টি স্পষ্ট হল সকলের কাছে। এমনই জানিয়েছেন কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আর চাকরির অনিশ্চয়তা বুকে চেপে বাড়ির পথ ধরেছেন সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়া শিক্ষকরা।
গত বছরের শেষদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) সাড়ে ষোল হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, ধাপে ধাপে ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। তারপর আশার সঞ্চার হয় প্রার্থীমহলে।এরপর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের গত বছর শেষের দিকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ড। শুরু হয় প্রার্থীদের তথ্য জমা দেওয়ার কাজ। ২০২১ জানুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ইন্টারভিউ হয়। প্রায় ত্বরিৎগতিতে সমগ্র প্রক্রিয়া শেষ করে ১৬ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ করে বোর্ড। শুরু হয় কাঊন্সেলিং ও নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ। তবে গোটা প্রক্রিয়া ঘিরে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়। যোগ্য প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি, ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশ। শুধু তাইই নয়, একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। এরপর আদালত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। সূত্রের খবর, এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবছে প্রাথমিক বোর্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.