অভিরূপ দাস: আর্থিক অনিয়মের জালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) ডেপুটি সুপার ডা. জয়ন্ত সেনগুপ্ত। ২০০৪ থেকে ২০০৭, টানা তিনবছর ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ছিলেন তিনি। অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে কিছু লোককে সুবিধা পাইয়ে দিতে খোলা বাজার থেকে ওষুধ, রাসায়নিক, রিএজেন্ট কিনতেন ডা. সেনগুপ্ত। হাসপাতালের হিসেবে বিপুল গরমিল ধরা পড়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ওঠার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের ভিজিল্যান্স কমিশন তদন্ত চালিয়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিস্বরূপ পাঁচ ধাপ বেতন কমানো হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপারের। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য দপ্তরের ভিজিল্যান্স কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছর পদোন্নতি বন্ধ থাকবে তাঁর। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনেকে জানিয়েছেন, বেতন কমিয়ে দেওয়া বা পদোন্নতি আটকে রাখা এর যথাযথ শাস্তি নয়। আরও কড়া শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের দুর্নীতি মামলায় কেন ১৪ বছর পর সাজা ঘোষণা হল?
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জয়ন্ত সেনগুপ্ত। তাঁকে এ বিষয়ে ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে জয়ন্ত সান্যাল জানিয়েছেন, “আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” অভিযুক্ত চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, জয়ন্তবাবুকে হয়তো ফাঁসানো হয়েছে। তিনি এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন না। গোটা ঘটনায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট হল বলেও মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.