অভিরূপ দাস: এমনটাও সম্ভব! একদিকে হার্ট ব্লক! অন্যদিকে ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে মারণ করোনা। কার্যত মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তিকে প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল দ্রুত অস্ত্রপচার। পেসমেকার বসিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচালো কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। রাজ্য সরকারি হাসপাতালে এত দ্রুততার সঙ্গে কোনও অস্ত্রোপচার এই প্রথম।
প্রথম যার দেহে পেসমেকার বসে তাঁর বয়স ৭১ বছর। যে কোন মুহূর্তে মৃত্যু হতে পারত তাঁর। প্রায় ৯০% হার্ট ব্লকেজ। সেই মুহূর্তেই পেসমেকার বসানো দরকার প্রাণে বাঁচানোর জন্য। ওই বৃদ্ধকে বাঁচানোর জন্য একটি মুহূর্তও নষ্ট করেনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ৮ জুন ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট। এদিকে হৃদস্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ। চিকিৎসক জয়ন্ত সাহার নেতৃত্বে ওই ৭১ বছরের বৃদ্ধকে দ্রুত ঢোকানো হয় ক্যাথ ল্যাবে। অস্ত্রোপচার করা হয়। বসানো হয় পেসমেকার। ১৩ জুন সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে যান ৭১ বছর বয়সের ওই প্রবীণ।
ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হয় ১৯ জুন। ৫৪ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে আনা হয়। তারও ৭৩% হার্ট ব্লকেজ। দ্রুত পেসমেকার বসানো প্রয়োজন। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সময় নষ্ট করেনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগ। চিকিৎসক ইমরান আহমেদের নেতৃত্বে দ্রুত গিয়ে অস্ত্রোপচারে পেসমেকার বসানো হয়। আপাতত তিনি বিপদমুক্ত। চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দু-একদিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির দেহে পেসমেকার বসানো এই শহরে এই প্রথম। প্রাণ বাঁচাতে গেলে দুই ব্যক্তির শরীরে তখনই পেসমেকার বসানো প্রয়োজন ছিল। সেই কাজটাই করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.