সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: উঠছে ধরনা। কাজে ফিরছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনের চিহ্ন রেখে যাচ্ছেন তাঁরা। যাতে ভবিষ্যতে ‘বেচাল’ হলেই ফের অবস্থানে বসতে পারেন। ধরনা উঠে গেলেও ডাক্তারদের খাটিয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রী স্বাস্থ্যভবনের সামনের ফুটপাথেই রাখা থাকছে।
ধরনা তুলে নেওয়ার আগে ফের একবার পথে নামছেন কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, রুমেলিকা কুমাররা। এবার সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াতে শুক্রবার দুপুর তিনটেয় স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করবেন তাঁরা। তার পর শনিবার থেকে জরুরি বিভাগে কাজে যোগ দেবেন। এদিন চিকিৎসকদের পাশাপাশি ‘অভয়া’ কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নামছে নাগরিক সমাজও। মশাল হাতে মিছিল হবে হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত।
এদিকে ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের তলায় কয়েক লক্ষ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আর্তদের জন্য় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ধরনাস্থলের অতিরিক্ত শুকনো খাবার, পোশাক, ওষুধ বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই গাড়িতে তুলে পাঠানো হয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়। চিকিৎসকদের দল রওনা দিয়েছেন দুই মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে অভয়া ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে। খোলা হবে ‘অভয়া’ ক্লিনিকও।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের প্লাবিত এলাকায় দাঁড়িয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “জল নামলেই সাপের উপদ্রব, ডায়েরিয়ার আশঙ্কা বাড়বে। মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা দরকার। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। চিকিৎসকদের বলব, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। প্রাণ বাঁচানোই এখন সবচেয়ে বড় কাজ। এটা রাজনীতি করার সময় নয়।” এর পর রাতেই কর্মবিরতি তুলে আপাতত জরুরি বিভাগের কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাশাপাশি বন্যা পীড়িতদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তবে এক সপ্তাহের মধ্য়ে দাবিপূরণ না হলে ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.