গোবিন্দ রায়: রাজ্য সরকার পরিচালিত এসএসকেএম হাসপাতালকে বিশ্বাস করা যায় না। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনে সিসিটিভি মামলায় সরাসরি আদালতে সওয়াল করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ইডির দাবি, এসএসকেএম একাধিক ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করেছে। এমনকী মেডিক্যাল রিপোর্টও সঠিক সময়ে দেওয়া হয়নি বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এসএসকেএমে (SSKM) ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী। নিম্ন আদালতে ইডি আবেদন করেছিল বালুর কেবিনে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবিতে। সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়। আপাতত বালুর কেবিনের বাইরে সিসিটিভি বসানো রয়েছে। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করেই হাইকোর্টে মামলা করেছেন দাপুটে তৃণমূল (TMC) নেতা।
সেই মামলাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইডিকে একাধিক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন। এদিন ইডির আইনজীবী স্পষ্ট বলেছিলেন, এসএসকেএমকে (SSKM) বিশ্বাস করি না। রাজ্যের ওই হাসপাতাল সহযোগিতা করে না। পালটা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও কি সিসিটিভির প্রয়োজন আছে? CRPF কেও কি ইডি বিশ্বাস করে না, প্রশ্ন বিচারপতির। বিচারপতি বলেন, “রেজিস্ট্রার থাকবে। সবাইকে দেখা করতে দেবেন না। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সময় আপনারা এই নির্দেশে বাধা দেননি। কারা দেখা করছেন সেটা রেজিস্ট্রারে থাকবে।”
সওয়াল চলাকালীন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলের নিজস্ব আইন আছে যারা অসুস্থ তাদের জন্য। কারা দেখা করতে পারবেন ইত্যাদি। সেটা এখানেও মানা হোক।” এর পরই বিচারপতি শুক্রবার ইডিকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ আনতে বলেন। শুক্রবার ফের শুনানি। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও সিসিটিভি কী প্রয়োজন, শুক্রবার সেই ব্যাখ্যা দেবে ইডি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.