অর্ণব আইচ: ফের শহরের বুকে নৃশংসভাবে খুন হলেন একাকী বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার সকালে গড়িয়াহাটের গড়চা রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধার গলাকাটা দেহ। জানা গিয়েছে, ভয়ংকর ভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে বৃদ্ধার মাথা। কী কারণে এই খুন? কে বা কারা জড়িত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। পুলিশ কুকুর দিয়েও চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
গড়িয়াহাটের পি ২ গড়চা ১ লেনের বাসিন্দা উর্মিলা ঝুন্ডি নামে ওই বৃদ্ধা। ছোটছেলের সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। পাশেই থাকেন বৃদ্ধার বড়ছেলের স্ত্রী। আদতে পাঞ্জাবের বাসিন্দা হওয়ায় মাঝে মধ্যেই সেখানে গিয়ে থাকতেন ওই বৃদ্ধা-সহ পরিবারের অন্যান্যরা। মাস দুয়েক আগে পাঞ্জাব থেকে ফেরেন উর্মিলাদেবী। এরপর কয়েকদিন আগে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিলিগুড়ি যান বৃদ্ধার ছোটছেলে। ফলে বুধবার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। এদিন রাতে একজনের হাতে বৃদ্ধার রাতের খাবার পাঠান তাঁর বড়বউমা। এরপর বৃহ্স্পতিবার সকালে কাজ করতে উর্মিলাদেবীর বাড়িতে আসেন পরিচারিকা। তিনি দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। ঘরে ঢুকতেই নজরে পড়ে বৃদ্ধার গলা, পেট কাটা ক্ষতবিক্ষত দেহ। এরপরই খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকরা। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ কুকুরকে। এক তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে বৃদ্ধার মস্তিষ্ক। সেই কারণে ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমের চিকিৎসক বিশ্বনাথ কাহালিকে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার আলমারি লন্ডভন্ড করা হয়েছে। কিন্তু টাকা বা গয়না কিছুই নেয়নি আততায়ী, তবে কেন খুন? কারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? তা জানতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। এলাকায় একটি মদের দোকান রয়েছে, ফলে বহু অপরিচিত মানুষের সমাগম হয় এলাকায়। তাঁদের মধ্যেই কেউই কী একা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই হত্যালীলা চালায়? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, এলাকার এক বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা নাগাদ আলো জ্বলতে দেখা গিয়েছিল বৃদ্ধার ঘরে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে যে, ওই সময়ই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় আততায়ী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.