অর্ণব আইচ: পেশাদার কোনও খুনি নয়। ঘনিষ্ঠ কেউই খুন করেছে বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষকে। যোধপুর পার্ক এলাকায় বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় এমনই তথ্য উঠে এল পুলিশের কাছে। খুনি একজনও হতে পারে বা একাধিক জন। মৃতের এই ফ্ল্যাটে আগে থেকেই যাতায়াত ছিল। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বৃদ্ধার পরিচিত ও আত্মীয়স্বজনদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, খুনের পর শ্যামলীদেবীর মোবাইল ফোনটিও নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
[ আরও পড়ুন: শহরে ফের মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক]
বৃহস্পতিবার সকালে যোধপুর পার্কে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে শ্যামলী ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শোয়ার ঘরে অ্যাটাচড বাথরুমের পাশে মেঝেতে চিত হয়ে পড়েছিলেন। দেহে পচনও ধরে গিয়েছিল। মাথার কাছে ছিল রক্তের দাগ এবং কাছেই একটি সাঁড়াশি। গলায় জড়ানো কাপড় দিয়ে। বালিশে মুখ চাপা। এভাবেই ওই বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। বিশেষত খুনের হাতিয়ার হিসাবে সাঁড়াশি ব্যবহারের নজির ইদানীংকালে নেই বলেই জানাচ্ছেন লালবাজারের পোড়খাওয়া গোয়েন্দারা।
১৪১, যোধপুর পার্কে চারতলা বাড়ির তিনতলার ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ। বাড়ির চারতলায় থাকেন ব্যবসায়ী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। একতলা ও দোতলায় কেউ থাকেন না। ওই ব্যবসায়ীর পরিচিত কেউ শহরে এলে টাকার বিনিময়ে এই দু’টি ফ্ল্যাটে থাকেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ যথেষ্ট শক্ত সামর্থ্য ছিলেন। তাঁর বাড়িতে কোনও পরিচারিকা কাজ করতেন না। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত, পরিচিতরাই খুন করেছে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধাকে। কিন্তু সেই পরিচিত কারা? স্থানীয় কেউ নাকি বৃদ্ধার কোনও আত্মীয়স্বজন। তদন্ত করছে পুলিশ। এলাকার দোকানদারদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবাসনের কেয়ারটেকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে এমন অভিজাত এলাকায় বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। কারণ বহু ফ্ল্যাটেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা একা থাকেন।
[ আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়ার আতঙ্ক, পুলিশকর্মীদের মশারি দিয়ে অন্ধ্রে পাঠাল লালবাজার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.