ছবি: প্রতীকী
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যের ভোটের কথা মাথায় রেখে শাসক-বিরোধী সব শিবিরই কমবেশি প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু সরকারিভাবে নির্বাচন ঘোষণার। সূত্রের খবর, সেই অপেক্ষা খুব শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে। দিন দশেক পরেই সরকারিভাবে রাজ্যের নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। সব ঠিক থাকলে সরস্বতী পুজোর দিনই রাজ্যের ভোটের দিন তারিখ ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
সরকারিভাবে ভোট ঘোষণা না হলেও, কমিশন মোটামুটি ভোটের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার। ঘুরে গিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চও। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক সবার সাথেই টুকটাক আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে কমিশনের আধিকারিকদের। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম খামতি দেখলে সোজা সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে। এসবই আসলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি। যা শুরু হয়ে গিয়েছে ডিসেম্বর মাস থেকেই। যা দেখে আন্দাজ করাই গিয়েছিল, বাংলার ভোট কিছুটা এগিয়ে আসতে পারে। কমিশনও আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল, এপ্রিলের মধ্যেই রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে চায় তারা। তাছাড়া দিনকয়েক ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যেই ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে।’ যা জল্পনা আরও বাড়িয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই জল্পনাই হয়তো এবার সত্যি হতে চলেছে। কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্যের বিধানসভা ভোট হবে ৫ থেকে ৭ দফায়। ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যেতে পারে এপ্রিলেই। শোনা যাচ্ছে, কমিশন শুভদিন দেখেই বাংলার ভোট ঘোষণা করবে। সেক্ষেত্রে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিনটিকেই বেছে নেওয়া হতে পারে ভোট ঘোষণার তারিখ হিসেবে। যদিও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু এখনও জানানো হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার ভোটে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে অনলাইনেও। সেজন্য জেলাশাসকদের প্রশিক্ষণ দেবে কমিশন। সেই প্রশিক্ষণ হবে আগামী ৫ ও ৮ ফেব্রুয়ারি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.