সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার কেমন চলছে? সাংবাদিক বৈঠক করেছেন? দলের সংগঠনের হাল কেমন? জঙ্গলমহলের তৃণমূলের কয়েক জন ব্লক সভাপতিকে এই প্রশ্নগুলি করা হয়েছে। প্রশ্নকর্তা আর কেউ নন খোদ নির্বাচনী রণকৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। যার মস্তিষ্কে ভর করেই ২০২১-এর ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সংগঠনের হাল জানতে এক্কেবারে তৃণমূলস্তরে পৌঁছে যেতে চাইছেন প্রশান্ত। সেজন্যই সরাসরি ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা সভাপতিদের হয় নিজে ফোন করছেন নয় তাঁর অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। প্রশান্তের এই উদ্যোগে অভিভূত ওই ব্লক সভাপতিরাও।
লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে শোচনীয় ফলাফল হয়েছে তৃণমূলের। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে দলের সংগঠনের অবস্থাও তথৈবচ। তাই, ফোনপর্ব জঙ্গলমহল থেকেই শুরু করেছেন প্রশান্ত। ইতিমধ্যেই নাকি গোয়ালতোড়ের ব্লক সভাপতি ভাস্কর চক্রবর্তী এবং গড়বেতা ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ ফোন পেয়েছেন। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এলাকায় তৃণমূলের সংগঠনের হালহকিকত। জানতে চাওয়া হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার কেমন চলছে। সাংবাদিক বৈঠক করে প্রচারে নেমে পড়েছেন কিনা। আর প্রচার শুরু হয়ে গেলে সেসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এসবই নাকি করছেন খোদ প্রশান্ত বা তাঁর দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি প্রশান্তের ফোনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মূলত প্রশান্তের সংস্থা থেকেই ফোন আসছে। প্রশান্ত নিজে ফোন করেছেন একজনকেই।
আসলে, লোকসভায় খারাপ ফলের পর তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা খানিকটা মুষড়ে পড়েছিলেন। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু হওয়ার পর তাঁরা অনেকটাই চাঙ্গা। জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে কর্মসূচির প্রচারও চলছে জোরকদমে। এই সুযোগে নিচুতলার সংগঠন খানিকটা ঝালিয়ে নিতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর নিজে। তাছাড়া নিত্য খোঁজখবর নিলে নীচুতলার কর্মীরা যে ফাঁকিবাজি করতে পারবেন না সেটাও ভাল মতোই জানেন নির্বাচনকৌশুলী। সেকারণেই হয়তো ব্লকস্তর থেকে সংগঠন পুনর্বিন্যাসের কাজটি ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তা নিজেই খতিয়ে দেখছেন প্রশান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.