ফাইল ছবি
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আমফানের ত্রাণ তহবিলে ৪০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। তার সবটা অডিট হবে। সাধারণ মানুষের জন্যই খরচ হবে তা, অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে। আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে লাগাতার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নিজেই মুখ খুলে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “আমাদের কিছু লুকোনোর নেই। আমরা ‘করছি না, বলছি না, শুনছি না’ এরকম বলব না। আমরা কিন্তু ‘করছি, বলছি, শুনছি’। ”
আমফানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের অনেকের নাম তালিকাতেই উঠছে না। উলটে পঞ্চায়েত বা পুরসভার দায়িত্বে থাকা শাসকদলের নেতাদের ‘স্বজনপোষণ’এর কারণে এমন অনেকেই আমফান ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাচ্ছেন, যাঁদের বিশেষ ক্ষতিই হয়নি। পঞ্চায়েত স্তরে ত্রুটিপূর্ণ তালিকা তৈরির জন্য এমন গরমিল হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে আকছার।
সেসব রুখতে প্রশাসনিক এবং দলীয় স্তরে যে কড়া নির্দেশ দেওয়ার, তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো কাজও শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। কোথাও অভিযোগ পাওয়ামাত্র দলের যে কোনও স্তরের নেতা, নেত্রীকে শোকজ করা, সঠিক তালিকা তৈরির কাজ, ভুল করে যাঁরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তাঁদের থেকে টাকা পুনরুদ্ধার করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার কাজ করছে প্রতিটি জেলা প্রশাসন।
তবে এ নিয়ে দুর্গতরা মুখ্যমন্ত্রীর নিজের মুখে আশ্বাসের অপেক্ষা করেছিলেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আশ্বস্ত করে বললেন, ”সরকারিভাবে এই অর্থ শুধুমাত্র মানুষের জন্য। অন্য কোনও কাজে তা খরচ করা যাবে না। ৫০ টাকাও মানুষ দিয়েছেন, ১ টাকাও সম্মানের। সবটাই মানুষের জন্য অডিট হবে। খরচটা করা হচ্ছে অর্থ দপ্তর থেকে। যাতে সব কিছুতে স্বচ্ছতা থাকে।” এইটুকুতেই যেন পরম ভরসা পেলেন আমফানে সর্বহারা মানুষগুলো। আর যাঁরা এ ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন, জবাব পেলেন তাঁরাও। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.