গোবিন্দ রায়: বছরের প্রথম দিনে ভয়াবহ আগুন লাগে কৈখালির রায়াসনিক কারখানায় (Kaikhali Fire)। এই ঘটনায় মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার কারখানার মালিক পবন আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। আজই বারাকপুর আদালতে তোলা হবে তাঁকে। এদিকে আগুন লাগার কারণ জানতে আজই কারখানায় যাচ্ছে ফরেনসিক টিম।
একেবার বিমানবন্দরের পাঁচিল লাগোয় এই রাসায়নিক কারখানা। বিমানবন্দরের এত কাছে কারখানাটি অথচ তাতে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকত সেখানে। অভিযোগ, অবৈধভাবে মজুত করা হত সেই সময় রাসায়নিক। কারখানায় ছিল না উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এমনকী, নির্মাণের নিয়ম না মেনেই তৈরি হয়েছিল কারখানাটি। দমকলের তরফে এহেন অভিযোগ পেয়েই মালিক পবন আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তোলা হবে আদালতে।
দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃত্যু হয় নিরাপত্তারক্ষীর। কিন্তু কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও অজানা। সেই কারণ খতিয়ে দেখতে রবিবারই কারখানায় যাচ্ছে ফরেনসিক দল।
বছরের প্রথম সকালে কৈখালির ওই রং কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পাশের একটি কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। যার জেরে আতঙ্ক আরও বাড়ছিল। তবে সকাল থেকে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন। কিন্তু এখনও কোথাও কারখানার পকেটে আগুন রয়ে গিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা। চলছে কুলিং অফ প্রসেস-ও। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনই কারখানার ভিতরে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দমকল সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া দেহটি ঝলসে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল থেকেই কারখানার নিরাপত্তারক্ষীর খোঁজ মিলছিল না। বিকেলে তাঁরই দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম কানাই সাঁতরা। বয়স ৬৪। আগুন লাগার পর কারখানা থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে পারেননি বলেই মনে করা হচ্ছে। যে সংস্থার মাধ্যমে তাঁকে কারখানার নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.