অভিরূপ দাস ও অর্ণব আইচ: পরনে সাদা অ্যাপ্রন, গলায় স্টেথোস্কোপ। যে কেউ দেখলেই চিকিৎসক ভাবতে বাধ্য। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অর্থাৎ ভুয়ো ডাক্তার সেজে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Medical College Kolkata) রোগীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর যুবকের নাম সানোয়ার হোসেন। হাওড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। চিকিৎসকের পোশাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যেই কথা বলছিলেন রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বিষয়টা নজরে পড়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের। এরপরই তাঁরা জানতে পারেন, যে সকল রোগীরা হাসপাতালে আসছিলেন বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করানোর জন্য। তাঁদের অন্যত্র অর্থাৎ হাসপাতালের বাইরের ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করার কথাও বলেন ওই যুবক। শুধু তাই নয়, কম পয়সায় ওষুধ এনে দেবেন বলেও জানাতেন তিনি।
এরপরই জুনিয়র চিকিৎসকরা চেপে ধরেন ওই যুবককে। জানা যায়, হাসপাতালের সঙ্গে কোনও যোগই নেই সানোয়ারের। চিকিৎসকও নন তিনি। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দালাল চক্র। তবে ঠিক কেন চিকিৎসকের পোশাকে ঘুরছিল ওই ব্যক্তি? কী কারণে হাসপাতালের বাইরে থেকে রক্ত ও নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছিলেন, ঘটনার নেপথ্যে আর কে বা কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.