গৌতম ব্রহ্ম: অবশেষে শাপমু্ক্তি। করোনা সংক্রমণে মৃত দমদমের প্রৌঢ়ের পরিবারের কারও শরীরেই মেলেনি জীবাণু, রিপোর্ট হাতে পেয়ে জানালেন বাঙুর হাসপাতালের সুপার। তাই বুধবারই বাড়ি ফিরবেন তাঁরা। মৃতের যে সহকর্মী প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি ছিলেও করোনা আক্রান্ত নন তিনিও, এমনটাই বলছে রিপোর্ট।
রাজ্যের প্রথম তিন করোনা আক্রান্ত সকলের মনে ভয়ের সঞ্চার করলেও আতঙ্ক এক ধাক্কায় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চতুর্থ আক্রান্ত। দমদমের বাসিন্দা বছর ৫৭-এর প্রৌঢ়। কারণ, তাঁর কোনও বিদেশ যাত্রার রেকর্ড মেলেনি। পরে সস্ত্রীক বিলাসপুর সফরের কথা প্রকাশ্যে এলে অনুমান করা হয় যে ট্রেন যাত্রায় কোনওভাবে সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা শুরুর পরই বাঙুর হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয় আক্রান্তের স্ত্রী, মা, শাশুড়ি, পরিচারিকা ও এক আত্মীয়াকে। সকলেরই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। প্রথমেই পরিচারিকা ও আত্মীয়ার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু আক্রান্তের স্ত্রী, মা ও শাশুড়ির রিপোর্ট নিয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন সকলেই, কারণ তাঁদের সংক্রমণের সম্ভাবনা ছিল প্রবল। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মৃত্যু হয় দমদমের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের।
মঙ্গলবার হাতে আসে মৃতের স্ত্রী ও শাশুড়ির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। জানা যায়, আক্রান্ত নন তাঁরা। কিন্তু তখনও মেলেনি মৃতের মায়ের রিপোর্ট, সেই কারণে আইসোলেশন থেকে ছুটি দেওয়া হয়নি প্রৌঢ়ের স্ত্রী ও শাশুড়িকে। যার ফলে মৃতের সৎকারেও অংশ নিতে পারেননি তাঁরা। পরে বুধবার হাতে এল মৃতের মায়ের রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত নন তিনি। অর্থাৎ সংক্রমিত নন কেউ। রিপোর্ট হাতে আসার পরই হাসপাতাল থেকে তাঁদের বাড়ির ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার ডাঃ শিশির নস্কর বলেন, “মৃতের মায়ের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাঁর রিপোর্টও নেগেটিভ। সকলেই আজ বাড়ি ফিরছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.