সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষুবিভাগের চিকিৎসকদের গাফিলতির জেরে চোখ বাদ গেছে যুবকের। এমনই অভিযোগ তুলে সরব রোগীর পরিবার। অভিযোগ, সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়নি। সেই কারণেই ডান চোখ হারাতে হয়েছে ওই যুবককে। যদিও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের তরফে সবরকম চেষ্টার পরও ওই রোগীর চোখ বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি ছাপাখানায় কাজ করতেন রাজা নস্কর নামে ওই যুবক। কাজ করার সময় চলতি মাসের ২৫ তারিখ রাজার চোখে একটি পেরেক ঢুকে যায়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে ওই যুবকের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর পর্যবেক্ষণেই ছিলেন ওই যুবক। পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের ঠিক দুদিনের মাথায় হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয় যে, রাজার চোখে তখনও পেরেকটি আটকে রয়েছে। বুধবার ফের অস্ত্রোপচার করে যুবকের চোখ থেকে পেরেকটি বের করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে পেরেকটি দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে চোখে। সেই সময় চিকিৎসকরা জানান যে, রাজার চোখটি বাদ দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।
এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় যুবকের পরিবার। তাঁদের প্রশ্ন, সোমবার তড়িঘড়ি রাজাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কী লাভ হল? চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রোগীর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অভাবের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়ার মতো ব্যবস্থাও নেই ওই হাসপাতালে। সেই কারণেই এই ভয়ংকর পরিণতি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে যে, ওই যুবকের চোখে যাতে কোনওভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও চোখটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি, চিকিৎসকরা বলেন, চোখটি বাদ না দিলে ওই যুবকের মৃত্যুও হতে পারত। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.