রমেন দাস: চারদিকে পড়ে ছেঁড়া ব্যানার-পোস্টার। শিক্ষাবন্ধুর অফিসের সামনে এখনও দাঁড়িয়ে দমকলের ইঞ্জিন। সব মিলিয়ে থমথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।শনিবার দফায় দফায় উত্তেজনার পর রবিবারের সকালে যেন অন্য ছবি। যদিও রয়ে গিয়েছে গতদিনের বিশৃঙ্খলার চিহ্নগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের জেরে মৃত নদিয়ার নাবালক ছাত্রের বাবা। তিনি বলছেন, “এই ছেলেমেয়ের উচ্ছৃঙ্খলতা বলি আমার ছেলে। গতকালের ঘটনায় কারও প্রাণ গেলে দায় কে নিত!”
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ওয়েবকুপার সভা। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে এসএফআই ও বাম সর্মথিত সংগঠনের পড়ুয়াদের হামলা। পথ অবরোধ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের মিছিল। পরে ক্যাম্পাস চত্বরে শিক্ষাবন্ধুর অফিসে আগুন। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজও প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। দুপুর ৩টেয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্নেলন করবে এডুকেশনিস্ট ফোরাম। থাকবেন শনিবার যাদবপুরে থাকা ওমপ্রকাশ মিশ্র ও অন্য শিক্ষাবিদরা।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে এক পড়ুয়ার আহত হওয়ার প্রতিবাদে দুপুর ১টা থেকে প্রতিবাদ মিছিল করবে এসএফআই। পথে নামবে সিপিএমও। বিকেল ৫টা থেকে সুলেখা মোড়ে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে তাঁরা। তাছাড়া ৩ মার্চ রাজ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই।
এই ঘটনায় নিজেকে দূরে রাখতে পারেনি বছর দুয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে মৃত নদিয়ার নাবালকের বাবা। সেই সময় অভিযোগ ওঠে র্যাগিংয়ের জেরে মৃত্যু হয় তার। শনিবারের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় প্রতিদিন বিদ্ধ হতে হচ্ছে। যাদবপুরের ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায় চলছে। ধিক্কার জানাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.