গৌতম ব্রহ্ম: ‘উৎকর্ষ বাংলা’য় ১০৭ চাকরির নিয়োগপত্রে ভুলভ্রান্তি হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় এফআইআর করল নবান্ন। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার থেকে ডাবল চেকিং বা দ্বিতীয়বার চেকিং করা হবে। পাশাপাশি হুগলির ১০৭ জনকে নতুন চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, “১০৭ নিয়োগ বিভ্রান্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো নিয়োগপত্র বলে প্রচার করা হচ্ছে। যার ফলে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমার একান্ত অনুরোধ, এরকম বড় কর্মযজ্ঞে হাজার হাজার মানুষ কাজ পাচ্ছে। সেখানে একটা ভুল হতেই পারে। তবে এই ভুল রাজ্য়ের নয়। এই ভুল এগ্রিগেটরের। তার জন্য আমরা ব্য়বস্থা নিয়েছি। এফআইআর করেছি।” তবে ভবিষ্যতে এরকম কিছু হলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আরজি জানান তিনি।
‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে ১১ হাজার নিয়োগপত্র বিলিতে হুগলির ১০৭ জনের নিয়োগে ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সেই বিষয়ে এদিন জবাব দিল নবান্ন। নিয়োগের ক্ষেত্রে সিআইআই, ন্যাসকম রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। গুরগাঁওয়ের এক এগ্রিগেটরের ভুলের জন্য নিয়োগপত্রে ভুল হয়েছিল বলে এদিন দাবি করলেন মুখ্য সচিব। ১৬ সেপ্টেম্বর ওই এগ্রিগেটরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিআইআই। এ বিষয় নিয়ে সিআইআইকেও বকাবকি করেছেন বলে জানান মুখ্য সচিব।
এইচ কে দ্বিবেদী আরও জানান, ” ওই ১০৭ জনের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেব না। ওদের একটা নয়, একাধিক জব অফার করেছি আমরা। এই ঘটনা নিয়ে আমি সিআইআইকে বকেছি। তারাও কিন্তু এমনটা চায়নি।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঠিক করেছি এবার থেকে ডবল চেকিং করা হবে। প্রথমবার নিয়োগপত্র পরীক্ষা করবে সিআইআই। পরের বার আমরা পরীক্ষা করে দেখব। তারপর নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। বড় কাজ করতে গেলে ভুল হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিভ্রান্তি তুলে ধরে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।” এদিন মুখ্য সচিব সাফ জানান, উৎকর্ষ বাংলায় রাজ্য সরকার চাকরি অফার করছে না। সরকার শুধু একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যার মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাগুলো তাদের প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ করছে। একইসঙ্গ তাঁর আরজি, কোনও চাকরিপ্রার্থী সমস্যায় পড়লে আমাদের দৃষ্টি আর্কষণ করুন।
পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে প্রচুর আইটিআই তৈরি হয়েছে।
গত দশ বছরে ১৭৬টি নতুন পলিটেকনিক কলেজ খোলা হয়েছে। পড়াশোনার সুযোগ বাড়ানোর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১১ সালে ৩৪,৮২১ জনের এনরোলমেন্ট ছিল যা ২০২২ সালে হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০০। এখানে যারা ট্রেনিং নিচ্ছেন তাঁরা সর্বভারতীয় স্তরে শীর্ষ স্থান পাচ্ছেন অনেকেই। অল ইন্ডিয়া ট্রেড টেস্ট যা কেন্দ্রীয় সরকার নেয় সেখানে বাংলার ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই প্রথম স্থান পেয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে পুরস্কার পেয়েছেএই উৎকর্ষ বাংলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.