সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রইল অপারেশন। যার জেরে বিপাকে অসংখ্য রোগী। চিন্তিত হয়ে পড়লেন চিকিৎসকরাও। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে। প্রায় তিনঘন্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে, আর জি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও বিকেলবেলা আগুন লাগে। তড়িঘড়ি রোগীদের পাশের ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। এর জেরেও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তৎপরতায় আধ ঘণ্টার মধ্যে সেই আগুন নিভে গিয়েছে বলেও খবর।
জানা গিয়েছে, আর জি কর হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের পাশে একটি বিল্ডিংয়ে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেখান থেকে আগুনের ফুলকি এসে পড়ে একটি প্লাস্টিকের উপর। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। তাতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগীদের মধ্যে। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের এই পরিস্থিতিতে স্বভাবতই চিন্তিত হয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হতে যাঁরা হাসপাতালে ভরতি, তাঁদের কি নতুন করে জীবন সংশয় তৈরি হয়ে গেল? এই ভাবনায় তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করে দেন।
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিপদ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয়েছে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। প্রথমে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তারপর আরও কয়েকটি ইঞ্জিন কাজে নামে। ওদিকে, রোগীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁদেরও অন্যত্র সরিয়ে নিতে তৎপর হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমারজেন্সি বিভাগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় প্রায় ৪০ জন রোগীকে। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্বস্তি ফিরে আসে রোগীর আত্মীয় মহলে। একইদিনে কলকাতার দুই সরকারি হাসপাতালে দু’ধরনের বিভ্রাটে ফের হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.