ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: প্রায় দশদিন কেটে গেলেও আর জি কর কাণ্ডে এখনও জারি ধোঁয়াশা। পুলিশের পর সিবিআই ঘটনার তদন্তভার নিলেও সঞ্জয় রায় ছাড়া গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে এবার মেয়েকে নিয়ে ধরনায় কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চের সামনে ধরনায় বসেন তাঁরা।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কাল আমরা মিছিল করেছি। আজকে আমরা ধরনায় বসেছি। আজ রবিবার, সিবিআই যেন চার্জশিট দেয়। একটা চার্জশিট তো দিক। কলকাতা পুলিশ হলে আজ চার্জশিট পেশ করত। একটা ঘটনা ঘটেছে। একটা ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। তার দোষ আছে কি নেই, তার পিছনে কেউ আছে কি নেই, সেটা জানি না এটা যারা তদন্তকারী সংস্থা তারা বলতে পারবে। এই ঘটনা একটা ক্রিমিনাল কনস্পিরেন্সি। প্রকৃত দোষীর ফাঁসি চাই। আমরা সবাই জাস্টিসের কথা বলছি। ফাঁসি হোক। তবে আমার ব্যক্তিগত মত শুধু ফাঁসি নয়, যেটা অন্যান্য দেশে আছে আমাদের দেশে নেই, জনসমক্ষে ফাঁসি হোক। যাতে আর কেউ সাহস না দেখায়।” আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানা গুজব রটছে। ইতিমধ্যে লালবাজারের তরফে অনেককেই তলব করা হয়েছে। ফিরহাদের আর্জি, “সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো উচিত নয়। তদন্ত করতে দেওয়া উচিত। এগুলো করে তদন্ত অন্য পথে যাচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা অন্যায়। এগুলো পাপ। না জেনে গুজব ছড়ানো উচিত নয়।”
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ধৃত সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত শুক্রবার মহিলা ব্রিগেডকে নিয়ে মিছিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিবিআইকে রবিবার পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দেন তিনি। তার মধ্যে ঘটনার কিনারা করতে না পারলে সোমবার থেকে দিল্লিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মমতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.