গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস: পৌষের শীতেও সেভাবে দাপট কমল না জীবাণুর। বরং ঠান্ডা-গরমের ট্রাপিজের খেলায় পৌষেও চলছে ভাইরাস ব্যক্টিরিয়ার ‘পৌষমাস’। কখনও ফণা তুলছে রাইবো ভাইরাস। কখনও সনাতনী ইনফ্লুয়েঞ্জা।
[অধ্যাপকদের হেনস্তা পড়ুয়াদের, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চারুচন্দ্র কলেজ]
কথায় বলে, ‘পৌষের শীত তুষের গায়ে, মাঘের শীত বাঘের গায়’। মাঘ মাসের এখনও দেরি আছে। কিন্তু, ভরা পৌষেও শীতের দেখা নেই রাজ্যে। বরং কিছুটা গরম ভাব অস্বস্তি বাড়িয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারিতেও গরমের কারণ পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। আর আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে বাতাসে লুকানো ভাইরাস। জ্বর ও সর্দি-কাশিতে বিছানা নিয়েছেন শহরবাসী। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রকোপ কমেছে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে ঠান্ডা সেভাবে না পড়ায় রাইবো ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এখনও সক্রিয়। তাই সর্দি—কাশি জ্বরের প্রকোপ এখনও চলছে। শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথা ব্যথাই শরীরে সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ। মাথাব্যথার শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংক্রমণে কাবু হয়ে পড়ছেন রোগীররা। থার্মোমিটার লাগালে দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রা ১০৪। অনেকে আবার গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হচ্ছে দেখে ডেঙ্গু ভেবে প্রমাদ গুনছেন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজ্যে আপাতত ডেঙ্গু নেই। বরং খেল দেখাচ্ছে শীতের নতুন অতিথি ভাইরাল ফিভার। অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে জ্বর কমে যাচ্ছে বটে, তবে খুশখুশে কাশি থেকে যাচ্ছে। কিন্তু, শরীর যতই খারাপ হোক, হুটহাট করে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে বারণ করছেন ডাক্তাররা।
[বন্দর এলাকায় খুন কুখ্যাত দুষ্কৃতী, পরিত্যক্ত গুদামে মিলল গলাকাটা দেহ]
কিন্তু, এই জ্বর বা সংক্রমণের হাত কীভাবে রেহাই মিলবে? চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরম লাগলেও হঠাৎ পাখা বা এসি চালাবেন না। তাতে ঠান্ডা বসে যেতে পারে। গলার সংক্রমণ আটকাতে এই সময়ে আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[শিশুর ক্যানসারের নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ফের সক্রিয় অসাধু চক্র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.