সুব্রত বিশ্বাস ও অর্ণব আইচ: কুরিয়ার সংস্থার উপর ভর করেই কলকাতার সম্ভ্রান্ত এলাকাগুলিতে বিদেশি সিগারেট পাচার। ‘গোপন এজেন্ট’দের হাত ধরেই তা ছড়িয়ে পড়ছে বাজারে। সম্প্রতি দু’দফায় পরপর আরপিএফ ও শুল্ক দপ্তরের (পি অ্যান্ড আই)-এর যৌথ উদ্যোগে প্রায় সোয়া ৪০ তক্ষ টাকার বিদেশি সিগারেট উদ্ধার হয়।
তার মধ্যে শুক্রবারই হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পাচার হয়েছিল এই সিগারেটগুলি। দু’বারই দেখা গিয়েছে, কখনও দিল্লি, আবার কখনও বা মুম্বই থেকে গোপনে কলকাতার উদ্দেশে বেআইনিভাবে নিয়ে আসা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট।
শুল্ক দপ্তরের গেয়োন্দারা জেনেছেন, কলকাতায় রয়েছে বেআইনি সিগারেট পাচারের মূল কারবারীদের বেশ কিছু এজেন্ট। কুরিয়ারের মাধ্যমে ওই সিগারেট বিদেশ থেকে অর্ডার দেওয়ার পর সেগুলি রাখা হয় রেলের গোডাউনে।
জানা গিয়েছে, অনেক সময়ই ভুয়ো নথি তৈরি করে সিগারেটের জায়গায় অন্য জিনিস দেখানো হয়। কুরিয়ারের অফিস থেকে ওই সিগারেটগুলি কলকাতা ও আশপাশের জেলার কয়েকটি অঞ্চলে বাক্স করে পাচার করা হয়। ক্রমে তা পৌঁছে যায় বিশেষ কয়েকটি দোকানে। আরপিএফ ও শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়া ১০ নম্বর শেডে হানা দেয় আরপিএফ। সেখানে জড়ো করা ছিল প্যাকিং করা বিদেশি সিগারেটের বাক্সগুলি। আটক করার পর দেখা যায় তার বাজার মূল্য ত্রিশ লক্ষের উপরে। দিন দুয়েক আগে ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে দশ লক্ষ টাকার বিদেশি সিগারেট আটক করেছিল আরপিএফ। মুম্বইবাসী দু’জনকে ধরে তুলে দেওয়া হয়েছিল শুল্ক বিভাগের হাতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.