প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: ক্রেডিট কার্ড চেয়ে সাইবার জালিয়াতের ফাঁদে পড়লেন প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। রীতিমতো জামতাড়ার জালিয়াতদের ‘মোডাস অপারেন্ডি’র আদলে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট থেকে হাতানো হল সাড়ে চার লক্ষ টাকা। যদিও পুলিশের দাবি, এই জালিয়াতির পিছনে জামতাড়া গ্যাং থাকলেও তাদের সহযোগীরা রয়েছে কলকাতাতেই। এই জালিয়াতিতে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে হানা দিয়ে এক অ্যাপ বাইকচালককে গ্রেপ্তার করলেন উত্তর কলকাতার কাশীপুর থানার আধিকারিকরা। ধৃত ব্যক্তির নাম আশিস সাউ। জানা গিয়েছে, সহজে টাকা রোজগারের ছক কষে জালিয়াতদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেয় সে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অবসর গ্রহণ করার পর ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড বানাতে চান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে এক নেটিজেনের যোগাযোগ হয়। তাঁকে ফোন করেন এক ব্যক্তি। নিজেকে একটি ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে তিনি জানান, খুব সহজেই ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের একসময় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ও সাইবার জালিয়াতি রোখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব ছিল। তিনিই শেষপর্যন্ত জালিয়াতদের পাতা ফাঁদে পা দেন। যে জালিয়াত তাঁর ক্রেডিট কার্ড করিয়ে দেবে বলে ফোন করে, তাকে ওই প্রৌঢ় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত পুরো তথ্য জানিয়ে দেন। এমনকী, তাঁর এটিএম কার্ডের নম্বরও পেয়ে যায় জালিয়াতরা।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ আসে। কয়েক দফায় সাড়ে লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। তিনি কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরুর পর যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে তাঁর টাকা লেনদেন হয়েছিল, তার সন্ধান পান। সেই সূত্র ধরেই আশিস সাউ নামে ওই যুবকের সন্ধান মেলে। গ্রেপ্তারির পর আশিস পুলিশকে জানায়, এক পরিচিত তাকে সহজে রোজগারের টোপ দেয়। শুধু তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা এলে কমিশন রেখে সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে হবে বলে জানানো হয়। সে দেখে, সারাদিন অ্যাপ বাইক চালিয়ে যত রোজগার করছে, তার অনেক বেশি টাকা রোজগার ওই কমিশনে। তাই জালিয়াতদের হয়ে সে কাজ করেছে। এই গ্যাংয়ের মাথাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.