ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে কলকাতায় পৌঁছেই বালিগঞ্জের বাড়িতে গিয়েছিলেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য ( Subires Bhattacharyya)। দুপুরে পৌঁছলেন বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে। সেখান থেকেই মুখ খুললেন এসএসসি দুর্নীতি ইস্যুতে। সিবিআইয়ের উপর ভরসা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির পর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। নাম জড়াচ্ছে প্রভাবশালীদের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ১০-১২ জনের তদন্তকারী দল উপাচার্যের কোয়ার্টার এবং দপ্তরে তল্লাশি চালায়। ৯ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয় বলে খবর। এদিকে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শোনা গিয়েছিল, সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতেই কলকাতা আসছেন তিনি। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও সিবিআই দপ্তরে যাননি সুবীরেশ। কলকাতায় পৌঁছে প্রথমে বালিগঞ্জের বাড়িতে যান তিনি। তারপর যান বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে। সেখান থেকেই সাংবাদিককে প্রশ্নের উত্তর দেন। এদিন সুবীরেশ ভট্টাচার্য জানান, সিবিআইয়ের উপর তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, “সিবিআই তদন্ত করছে। আমার তদন্তে সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। একটা প্রশ্ন উঠছে স্ক্যান সিগনেচার নিয়ে। হাজার হাজার মার্কশিট ওই পদ্ধতিতে তৈরি হয়। কেউ সেটা পরবর্তীতে ব্যবহার করলে কে কী করতে পারে?পদ্ধতিগত ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।” এরপর সোজা ফ্ল্যাটের ছাদে উঠে যান সুবীরেশ। কারণ, তার ফ্ল্যাট সিল করে দিয়েছে সিবিআই। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন। এরপর সিবিআই যায় সেখানে। শুরু হয় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ। সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও চলে জেরা।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত ৪ বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম রয়েছে তাঁর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেয়নি। এনিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চলছিল। তাঁর উপর নজর ছিল সিবিআইয়ের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.