প্রতীকী ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: এসএনসিইউ-তে ভর্তি রয়েছে এক শিশু। তাকে ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে নার্স দেখতে পান ভায়ালের মধ্যে ছত্রাক ভাসছে! এই ঘটনা এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিড়ম্বনায় পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতালের বক্তব্য, ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। পাশাপাশি ওই সংস্থাকে ডেকেও পাঠানো হবে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল ওই সদ্যোজাতের। তাই তাকে ‘স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট’(এসএনসিইউ)-এ রাখা হয়েছিল। তাকে ‘সিলডেনাফিল সাইট্রেট’ ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশন দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। সেই মতো হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর থেকে ওয়ার্ডে আনা হয় ওই ইঞ্জেকশন।
কিন্তু ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় দেখা যায়, ভায়ালের মধ্যে ছত্রাক ভাসছে। নার্স সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এর পরেই ওই ভায়াল পরিবর্তন করা হয়। ফলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুসের শিরাতে বাতাসের চাপ অত্যধিক বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘সিলডেনাফিল সাইট্রেট’ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ছত্রাকযুক্ত ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া হলে প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
জানা গিয়েছে, ওই ভায়ালের গায়ের লেবেলে যে তারিখ ছিল তাতে উল্লেখ করা রয়েছে, ২০২৩-এর জুন মাসে তৈরি এবং ২০২৫-এর মে মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ। তার পরেও কীভাবে ওই ভায়ালের মধ্যে ছত্রাক জন্মাল তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। এন আর এসের সুপার ইন্দিরা দে বলেন, “মাঝেমধ্যে কোনও কোনও ওষুধে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, বিষয়টি নজরে আসতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি ভায়ালের মধ্যে ছত্রাক মিললেও, ওই ব্যাচের সমস্ত ইঞ্জেকশন বাতিল করা হয়েছে। সরবরাহকারী সংস্থার কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.