অর্ণব আইচ: বাথরুমে জল রাখার ড্রামে ভাসছে শিশুর দেহ! প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলেই মনে হয়েছিল পুলিশের। ময়নাতদন্তে রিপোর্টেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে খবর। গার্ডেনরিচে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় নাটকীয় মোড়। পরিবারের দাবি, নাবালক দেওরকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বউদি প্রিয়াঙ্কা দাস। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ।
[গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধ দম্পতিকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দুষ্কৃতীদের]
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ঋজু দাস। বয়স মোটে আট। বাড়ি গার্ডেনরিচের পাহাড়পুর রোডে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, নাবালক দেওরকে বরাররই হিংসা করত বউদি প্রিয়াংকা দাস। তার ধারণা ছিল, ঋজুকেই বেশি ভালবাসেন পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছিল ঋজু। কিছুক্ষণ পর ছাদের পাশে শৌচাগারে জল ভরতি ড্রামে তাঁর নিথর দেহ ভাসতে দেখেন শিশুটির মা। একরত্তি শিশুর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকা চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে অবশ্য দুর্ঘটনা বলেই মনে হয়েছিল তদন্তকারীদের। এমনকী, শিশুটির দেহের ময়নাতদন্তে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। শিশুমৃত্যু ঘটনা নাটকীয় মোড় নিল সোমবার রাতে।
ঋজু দাসের পরিবারের লোকেদের দাবি, রাতে স্বামীর কাছে দেওরকে খুনের করার স্বীকার করেছে প্রিয়াঙ্কা। ঘটনার দিন যখন শৌচাগারে ড্রামে নেমে স্নান করছিল ঋজু, তখন ড্রামের ঢাকনাটি বন্ধ করে দিয়েছিল তার বউদিই। ঋজুর মারা যাওয়ার পর ঢাকনাটি খুলে দিয়ে চলে যায় সে। মঙ্গলবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে সটান মেটিয়াবুরুজ থানার হাজির হন ঋজু দাসের দাদা। পুলিশের দাবি, তাঁদের সামনেও অপরাধ কবুল করেছে প্রিয়াঙ্কা দাস। আপাতত তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু, স্রেফ হিংসার বশেই কি এমন কাণ্ড ঘটালেন প্রিয়াঙ্কা দাস? পরিবারের লোকের দাবি তেমনই। মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, বয়সের তুলনায় যথেষ্ট লম্বা ছিল ঋজু। শৌচাগারের ড্রামে নেমে স্নান করার অভ্যেস ছিল তার। সেই অভ্যাসই কাল হল। যদিও খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে।
[হাসপাতালে জরায়ুর বাইরেই প্রাণ পেল শিশু, কীর্তি ন্যাশনাল মেডিক্যালের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.