বিনোদিনী স্কুলে চলছে বিক্ষোভ, ছবি: পিন্টু প্রধান।
অর্ণব আইচ: ফের শহরের স্কুলে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুল। অভিযোগ, প্রাইমারি বিভাগের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে স্কুলেরই শিক্ষক। গোটা ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই এদিন সকালেই স্কুলের গেটে বিক্ষোভ শুরু করেছেন অভিভাবকরা। বিক্ষোভের জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত মাসের ২৪ তারিখে স্কুল শিক্ষকের লালসার শিকার হয় খুদে পড়ুয়া। অভিযোগ, শিশুটির উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত শিক্ষক। বাড়ি ফিরে বাচ্চাকে দেখে আঁতকে ওঠেন মা। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিতা ছাত্রী। অভিযোগ, এদিকে ছাত্রীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটলেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়েই থানায় গিয়ে অভিয়োগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার অভিভাবকরা। তারপর মঙ্গলবার সকালে স্কুলের গেটের সামনেই অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেপ্তারির দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। অভিভাবকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে লেক থানার পুলিশ। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্যাতিতার অভিভাবকরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেই তিন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কেষ্টপুরের অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুলে। অভিযুক্ত শিক্ষক দিব্যেন্দু সরকারের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভও হয়। অভিযোগ, আঁকা শেখানোর নাম করে তিন খুদে পড়ুয়াকে ফাঁকা ক্লাসে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে ওই শিক্ষক। বাগুইআটি থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনাতেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ আগেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই কাণ্ড ঘটানোর নজির রয়েছে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকাকে জানানোও হয়েছিল। তবে তিনি অভিযোগপত্র জমা নিয়ে আর কোনও পদক্ষেপ করেননি। এক্ষেত্রেও তাই। বছর দুয়েক আগে বিনোদিনী গার্লসস্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। ফের সেই ঘটনা ঘটায়, অভিভাবকদের দাবি, একটি গার্লস স্কুলে কোনও পুরুষ শিক্ষক থাকবে না। স্কুল যখন ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তখন শিক্ষক না থাকাকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.