রিংকি দাস ভট্টাচার্য: রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বৈরথ আরও বাড়ল। শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যের মন্ত্রীদের কার্যত সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে উদ্দেশ্য করে কিছু মন্তব্য করেছেন। রাজ্যপালের কথায়, মন্ত্রীরা ডেকোরামের বাইরে মন্তব্য করছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করেন।
রাজ্যপাল বলেন, “আমার নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু এই রাজ্যেরই প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আমার নিরাপত্তা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন বলে শুনেছি। উনি বলেছেন, রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে দিল্লিকে না জানিয়ে রাজ্য সরকারকেই তা জানাতে পারতেন। এটা রাজ্য সরকারেরই কাজ। এরপরই রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্য সরকারকে আমি সব জানিয়েছি। আমার সঙ্গে রাজ্য সরকারের কী কথা হয়েছিল তা বাইরে বলব না। সাংবিধানিক পদে থেকে আমি অসংলগ্ন কথা বলতে পারি না। কিন্তু উনি (সুব্রতবাবু) কী জানতেন না সরকারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল? তা না জেনে এ সব কথা বাইরে বলা কি ঠিক?”
এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন সংক্রান্ত কোর্টের প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে তিনি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন ধনকড়। রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৃহস্পতিবার সমালোচনা করেছিলেন সুব্রতবাবু। তিনি বলেছিলেন, “পঞ্চাশ বছরের সংসদীয় রাজনীতিতে এমনটা কখনও দেখিনি। বাংলায় কি পুলিশের অভাব যে উনি সোজা দিল্লিতে গিয়ে নিরাপত্তা চাইলেন।” শুধু সুব্রতবাবুর সমালোচনা করে থামেননি রাজ্যপাল। নাম না করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করেন তিনি। ধনকড় বলেন, “আমার শিলিগুড়ি সফর নিয়ে এই রাজ্যেরই মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে যে সব মন্তব্য করেছিলেন, তা কি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে করা যায়?” তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রীদের কীভাবে সামলাবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। এটুকু বলতে পারি সাংবিধানিকভাবে আমি কোনও লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.