সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষের গণ্ডি। তবে বেশিরভাগ মানুষই এই মারণ ভাইরাসকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে মৃত্যুর হারও। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে সে ব্যাখ্যাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে জানালেন, এর পরও কোনও বিপদ হানা দিলে তৈরি রাজ্য।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বর্তমানে বাংলায় অ্যাকটিভ কেস ২৩ হাজার ৬২৪। তাই মোট করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হলেও অ্যাকটিভ কেসেই পরিষ্কার যে বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাছাড়া ভারতে যেখানে করোনা আক্রান্তের হার ৮.৫২ শতাংশ, সেখানে বাংলায় হার ৮.২১%। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও সংক্রমণের হার রাজ্যে কম। সেখানে সুস্থতার হার ৮.৭৬ শতাংশ। করোনাজয়ীর সংখ্যাও যেমন প্রতিদিনই বাড়ছে, তেমনই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে মৃত্যু হার। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “একটা সময় যেখানে মৃত্যুর হার ৯ শতাংশেও বেশি হয়ে গিয়েছিল। সেটা এখন কমে ১.৯৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এটাও আমরা আরও কমিয়ে দেব। তবে মনে রাখতে হবে এর মধ্যে কিন্তু ৮৬ শতাংশ মৃত্যুই কোমর্বিডিটির কারণে।”
এককথায় করোনার বিরুদ্ধে যে শক্ত হাতে লড়াই চালাচ্ছে বাংলা, সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। যিনি সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, করোনা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র বিজেপি নেতা-কর্মীদের রুখতেই লকডাউন করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তারই পালটা দিয়ে এদিন মমতা বলেন, “অনেকে বলছে কোভিড চলে গিয়েছে। করোনা নেই। পলিটিক্যাল মিটিং করো। ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। যারাই আন্দোলন করছে, তাদের উপরই অত্যাচার নেমে আসছে। তাদের বলি, ছাই দিয়ে আগুন নেভানো যায় না। এত সহজে কোনও রোগ বিদায় নেয় না। তাই তৈরি থাকতে হবে। আমরা এখনও প্রস্তুত, পরের ফেজের জন্যও প্রস্তুত।”
অর্থাৎ সেকেন্ড ওয়েভ এলেও শক্ত হাতেই তার মোকাবিলা করতে পারবে রাজ্য প্রশাসন। সেই পরিকাঠামো রাজ্যের আছে। তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া নাগরিক পরিষেবার জন্য রয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। একইসঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও ফের রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.