স্টাফ রিপোর্টার: শহরে ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের নজির। মৃত এক মহিলার অঙ্গে প্রাণ পাবেন তিনজন। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই হাওড়ার নারায়ণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়েছে হার্ট এবং কিডনি। জানা গিয়েছে, তাঁর অপর কিডনিটি হাওড়ার অন্য একটি হাসপাতালে প্রতিস্থাপিত হবে।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাটমানি ফেরত, প্রতিশ্রুতি বঙ্গ বিজেপির]
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা অঞ্জনা ভৌমিক (৪৯)। রবিবার দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর আচমকা তাঁর বমি হতে শুরু করে। বমির সঙ্গে ক্রমাগত রক্তক্ষরণও হচ্ছিল। তাঁর স্বামী সন্তোষ ভৌমিক পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক। ফলে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় স্ত্রীকে এলাকারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ্অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাঁকে বাড়িও নিয়ে যান। এরপর সোমবার সকাল থেকে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ক্রমশ সংজ্ঞা হারান তিনি। সোমবার বিকেলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানেই আইসিইউতে রাখা হয় অঞ্জনাদেবীকে। ক্রমশ অসাড় হতে থাকেন তিনি। চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন আশা নেই। ব্রেন সেল স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন অঞ্জনাদেবী। ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার আগে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন চিকিৎসকরা। জানানো হয়, শরীরের একাধিক অঙ্গ দিব্যি সচল রয়েছে অঞ্জনাদেবীর। পরিবার সম্মতি দিলে তা প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে অন্য কারও দেহে।
এরপরই অঞ্জনাদেবীর দুই মেয়ের কাছে খবর পাঠানো হয়। তাঁরাও চান মায়ের অঙ্গে প্রাণ ফিরে পাক মুমূর্ষুরা। এরপরেই তোড়জোড় শুরু। নায়ারণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে শুভাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে গ্রিন করিডর করে হাওড়া থেকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়েছে একটি কিডনি এবং হার্ট। অপর একটি কিডনি ও লিভারের জন্য উপযুক্ত গ্রহীতা খোঁজা হচ্ছে।খুঁজে পাওয়া গেলেই দান করা হবে সেই অঙ্গগুলিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.