সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশু নির্যাতনে পকসো আইন মেনে ‘নিগৃহীতা’দের শারীরিক পরীক্ষায় করায় আরও কঠোর হল স্বাস্থ্যভবন। এই মর্মে রাজ্যের সব মেডিক্যাল হাসপাতালের অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের চিঠি দিল স্বাস্থ্যদপ্তর। আগে থেকেই ছিল এই নিয়ম। তবে আরও সঠিক ভাবে মানতেই এই নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যভবন।
কী বলা হয়েছে ওই চিঠিতে? স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ হেনস্তার শিশুটির পরিবার কোনও কারণে এফআইআর দায়ের না করতে পারলেও স্থানীয় হাসপাতালে গেলে, আগে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে। যৌন হেনস্তার শিকার কোনও বালক বা নাবালিকা হলে তার পরীক্ষা করবেন কেবল মাত্র এক মহিলা চিকিৎসকই। এই জন্য প্রতি হাসপাতালে একটি মেডিক্যাল বোর্ড অবশ্যই তৈরি করতে হবে। যৌন হেনস্তার শিকার বাচ্চার পরিবারের উপস্থিতিতেই তাকে পরীক্ষা করবেন মহিলা ডাক্তার। যদি পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকতে পারেন সেক্ষেত্রে, পরিবারের বিশ্বাসভাজন কোনও ব্যক্তিকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। অন্যথায় মেডিক্যাল পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে।
এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, নির্যাতিনের শিকার কোনও শিশুকন্যার পরিবারের কেউ বা বিশ্বাসভাজনকেউ কোনও কারণে উপস্থিত না থাকতে পারলে সেক্ষেত্রে ওই হাসপাতালে পকসো বোর্ডের মহিলা চিকিৎসকের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
কেন এই নির্দেশ দিতে হল স্বাস্থ্যভবনকে? আগে কি পকসো আইনের এই নিয়ম মানা হত না? স্বাস্থ্যভবনের কাছে বেশ কিছু সময় ধরে এই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ আসছিল। তা রুখতেই এই কড়া বার্তা জারি করল স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি শিশু অধিকার কমিশনের ডিরেক্টর, মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষ সচিব ও একাধিক সরকারি স্তরে তা পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.