ফাইল ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সঙ্কট কাটলেও বিপন্মুক্ত নন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। আইসিসিইউ থেকে বেরিয়েছেন মন্ত্রী। ইডির নজরদারিতে কার্ডিওলজির কেবিনে রয়েছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারাচ্ছেন। সূত্রের খবর, এসএসকেএমের বারো নম্বর কেবিন থেকে মাঝেমধ্যে শোনা যাচ্ছে, “ঠাকুর আমায় রক্ষা করো। ঠাকুর আমার কোনও দোষ নিও না। ঠাকুর আমায় ভালো করো।”
চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকায় দ্রুত তাঁর জ্ঞান ফেরানো হচ্ছে। কিন্তু এমন ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ডের। বনমন্ত্রীর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের ধারনা, লাগামছাড়া সুগারের জন্য তাঁকে ইনসুলিন ও আরও তিনরকমের ওষুধ খেতে হয়। এ ছাড়াও কিডনি ও স্নায়ুর সমস্যার জন্য নিয়ম করে ওষুধ খেতে হয়। সম্ভবত দ্রুত রক্তে শর্করার হার কমে যাওয়ায় (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) জন্য জ্ঞান হারাচ্ছেন জোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে হার্ট বা ফুসফুসের কোনও সমস্যা নেই।
আইসিসিউই থেকে কেবিনে আসার পর কারও সঙ্গে কথা বলছেন না বনমন্ত্রী। বস্তুত নিজের মধ্যেই থাকছেন। হাসপাতালের ডায়বেটিক খাবার দেওয়া হচ্ছে। শনিবার তাঁর রক্তের কয়েকটি পরীক্ষা হয়েছে। সোমবার আরও কয়েকটি পরীক্ষা হবে। এদিকে শুক্রবার কেবিনের বাইরে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। রাখা হয়েছে রেজিস্টার। বনমন্ত্রীকে হাসপাতালে দেখা করতে কে কখন আসছেন? কখন বেরিয়ে যাচ্ছেন সব নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এই খবর জানতে পেরেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা দিনে অন্তত দুবার আলোচনা করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.