কলকাতায় দাবদাহ। ছবি: শুভাশিস রায়।
নব্যেন্দু হাজরা: শুরুতেই এবার দাপুটে ইনিংস খেলছে গরম। বৈশাখের প্রথম ১০ দিনেই গরমে হাসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি যেন চাতক পাখি। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো যোগ হয়েছে তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। সোমবার বেলা ১১টা থেকে কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে। কবে উন্নতি হবে পরিস্থিতির, কবে কমবে গরম, এটাই এখন সকলের কাছে বড় প্রশ্ন।
উত্তরে অবশ্য আশার কথা শোনাতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে লাগাতার গরম হাওয়া ঢুকছে রাজ্যে। যার জেরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আপাতত বৃষ্টি (Rain) নিয়ে কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। নেই কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও। উলটে সকাল ১১টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলবে তাপপ্রবাহ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, তাপপ্রবাহ চলবে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত গলদঘর্ম হতে হবে বঙ্গবাসীকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও চলবে তাপপ্রবাহ। ২৭ এবং ২৮ এপ্রিলও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরের মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দারাও পুড়বে গরমে।
ইতিমধ্যে পশ্চিমের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে। গতকাল বাঁকুড়ার তাপমাত্রা পারদ ছুঁয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি। এটাই সর্বোচ্চ। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর, পানাগড়, আসানসোল, পুরুলিয়া, মালদহ-সহ একাধিক এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি। কলকাতার বারাকপুর, দমদম এলাকায় তাপমাত্রা পেরিয়েছিল ৪০ ডিগ্রি। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে হাওয়া অফিস।
কী এই তাপপ্রবাহ? মৌসম ভবন জানাচ্ছে, তাপপ্রবাহ এমন একটি অবস্থা যখন তাপমাত্রা মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। কোনও একটি সমভূমি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে অথবা পাহাড়ি এলাকার ক্ষেত্রে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়ে থাকে। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে মোটামুটি ৫ ডিগ্রি বেশি থাকলে তাকে তাপপ্রবাহ বলেই ধরা হয়।
সুস্থ থাকতে মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.