Advertisement
Advertisement
Calcutta High Court

বিচারককে হেনস্তা! বসিরহাটের ২১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে রুল জারি হাই কোর্টের

বিচারক হেনস্তা মামলায় কড়া পদক্ষেপের পথে ডিভিশন বেঞ্চ।

High Court issues rule against 21 Basirhat lawyers for harassing judges

ফাইল ছবি

Published by: Suhrid Das
  • Posted:March 10, 2025 1:14 pm
  • Updated:March 10, 2025 6:07 pm  

গোবিন্দ রায়: এবার কলকাতা হাই কোর্টের কোপে বসিরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি-সহ ২১ জন আইনজীবী। বিচারক হেনস্তা মামলায় কড়া পদক্ষেপের পথে ডিভিশন বেঞ্চ। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাই কোর্ট।

বসিরহাট আদালতে এডিশনাল ডিট্রিক্ট জাজকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে জেলা বিচারকের মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই বিচারক। ঘটনায় মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে। ঘটনার ভিডিওগ্রাফি দেখে আদালত। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত দুই বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালতের নির্দেশ থাকলেও কেন সরকারি আইনজীবী একটি পকসো মামলায় নিম্ন আদালতে সওয়ালপর্বে অংশগ্রহণ করেননি! ফলে পকসো মামলায় নির্যাতিত শিশু উপযুক্ত বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

Advertisement

ওই ২১ জন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে আগামী দিনে মামলার শুনানি হবে। সেই শুনানির মধ্যে দিয়েই তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই কথা বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছেন। বসিরহাট বার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযুক্ত আইনজীবীদের তথ্য চেয়ে পাঠানোর কথা আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি কী? জানা গিয়েছে, বসিরহাট আদালতে একটি পকসো মামলায় শুনানি ছিল। সেই মামলায় আইনজীবীরা অংশ নেননি বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিচারক কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। সেসময় তাঁকেও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। আর তারপরই তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

এপিপিএর এই আচরণে, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ক্ষুব্ধ হয়ে এদিন তাঁকে হাজির হতে নির্দেশ দেন। গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই সরকারি আইনজীবীর আচরণে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, “শেরিফ কে কি ডেকে পাঠাব? গ্রেপ্তার করতে বলব?” আরেকটি মামলার উল্লেখ করেন বিচারপতি। সেখানেও একইভাবে আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে যায় অভিযুক্ত।

বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “ওনাকে রাখা যাবে না এপিপি হিসেবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। বসিরহাট আদালত চত্বরে প্রায় কয়েক একর জমি আছে। সেখানে আলাদা আদালত করার কথা ভাবা হচ্ছে। ওদিকে এমন এপিপি কোর্টে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন।” বিচারপতি আরও বলেন, “সবচেয়ে আশ্চর্য ৩০ বছরের প্র্যাক্টিস করা আইনজীবী এমন কাজ করেছেন।” আগামী ১৭ মার্চ এই মামলার পরের শুনানি। সেদিন ওই আইনজীবীরা হলফনামা জমা দেবেন।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement