ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জোরকদমে ভোটের (West Bengal Assembly Elections) প্রচারে শুরু হয়েছে বঙ্গে। এই বাজারেই কড়া হুঁশিয়ারি দিল কলকাতার বাড়ির মালিকদের সংগঠন ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের সাফ কথা, ফ্লেক্স, পোস্টার পড়লেও দেওয়াল লিখন নৈব নৈব চ।
এবিষয়ে একাধিকবার ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে বাড়ির মালিকদের সংগঠন। কলকাতা পুরসভাকে জানিয়েছে। নবান্নেও চিঠি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁদের দাবির কথা একবার তাঁরা জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উত্তর থেকে মধ্য হয়ে দক্ষিণ, শহরের সর্বত্র এই সংগঠনের সদস্যদের বাস। ভোটের প্রচারে তাঁদের সদস্যদের বাদ দিয়ে দেওয়াল লেখা হয়, এমনটাও নয়। তা সত্ত্বেও দেওয়াল লিখনের বিরোধী তাঁরা।। সংগঠনের বক্তব্য, “একটি দেওয়ালে কোনও রাজনৈতিক দলকে লিখতে দেওয়া হলে, অন্য রাজনৈতিক দলের শত্রু হয়ে যাওয়া। তা ছাড়া ভোটের সময় যে পক্ষকে লিখতে দেওয়া হবে, যদি তার বিরোধী পক্ষ জিতে যায়, পরে কোনও কাজে গিয়ে তাদের রোষানলে পড়তে হতে পারে। তাতে শেষপর্যন্ত আমাদেরই ক্ষতি।”
ভোটের যুদ্ধে পড়ে তাদের কোনওরকম ক্ষতি হোক, তা চায় না বাড়িওয়ালাদের এই সংগঠন। সংগঠনের আহ্বায়ক সুকুমার রক্ষিত জানাচ্ছেন, তাঁদের তরফ থেকে একাধিকবার এ নিয়ে নানা মহলে আপত্তি জানানো হয়েছে। বলছেন, “আমরা কোনও পক্ষের কাছেই সুবিধা নিতে যাই না। আমরা কোনও পক্ষেরই শত্রুও হতে চাই না। বছরভর যে দেওয়াল রক্ষণাবেক্ষণ করে রাখা হয়, সেই দেওয়াল ভোটের সময় নোংরা করতেও দিতে চাই না।”
অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় হলেও হাওড়া ব্রিজ ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কর এখনও কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের দিতে হয়। কলকাতা পুরসভা এই কর নেয়। এ নিয়েও একাধিকবার জানানো হয়েছে পুরসভাকে। তাঁদের বক্তব্য, ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণে কলকাতা পুরসভার কোনও ভূমিকা নেই। তা ছাড়া কলকাতার বাড়ির মালিকদের থেকে হাওড়া ব্রিজ ব্যবহার করেন রাজ্য ও ভিন রাজ্যের বহু মানুষ। তার পরও .৫ শতাংশ হারে তার জন্য কর নেওয়া হয়। এ নিয়েও নতুন করে আপত্তির কথা জানিয়েছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.