ছবি - প্রতীকী
অর্ণব আইচ: পাড়ার লোকেরা জানতেন বাড়িতে চলছে বুটিকের ব্যবসা। তাই বাড়িটিতে আনাগোনা মহিলাদের। ব্যবসার কাজে আসে পুরুষরাও। শেষপর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের ভুল ভাঙল পুলিশের হানার পর।
বুটিকের ব্যবসার নাম করে মধুচক্র শহরে। চক্রের মাথা দুই মহিলা ও দুই খদ্দেরকে গ্রেপ্তার করলেন কসবা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকজন মহিলাকেও। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই মহিলার নাম রতি মাহাতো ও মিতা ঢালি। তাদের মধ্যে রতি এই মধুচক্রের মালিক। মিতা ম্যানেজার। মৈনাক সাঁপুই ও শেখ কলিম দু’জনেই খদ্দের। কিছুদিন আগেই কসবা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে যে, কসবার নস্করহাট মধ্যপাড়ায় চলছে মধুচক্র।
সেইমতো পুলিশ নস্করহাটের সেই বাড়িটিতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, সেখানে চলে বুটিকের ব্যবসা। কিন্তু কয়েকজন মহিলার আচরণ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করে। গোপন সূত্রে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, বুটিকের ব্যবসার নাম করেই কলকাতা ও আশপাশের জেলা থেকে যুবতী ও তরুণীদের নিয়ে আসা হয় সেখানে। তাঁদের নামানো হয় দেহ ব্যবসায়। কখনও হোয়াটসঅ্যাপ, কখনও মেসেজ পাঠিয়ে রতি ও মিতা খদ্দেরদের টানত। ওই বাড়ির একতলায় বুটিকের দোকানের আড়ালেই চলত মধুচক্র। পুলিশের একটি টিম ছদ্মবেশেই যোগাযোগ করে ওই মহিলাদের সঙ্গে।
এরপর শনিবার রাতে ওই বাড়িটিতে হানা দিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয় এই চক্রের মাথাদের। তারা শহরের অন্য কোথাও মধুচক্র চালাত কি না, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.