Advertisement
Advertisement
Charu Market

চারু মার্কেটের ফ্ল্যাটে পরিচারকের দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের, যুক্ত কাছের লোক?

যুবকের ঘাড় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Household allegedly killed in Charu Market, near ones suspected

প্রতীকী ছবি

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 30, 2025 2:03 pm
  • Updated:March 30, 2025 2:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে ছুটিতে আসার কথা ছিল। তার আগেই দিনই শনিবার চারু মার্কেট এলাকায় একটি ফ্ল‌্যাট থেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের নাম অবিনাশ বাউরি (২২)। যুবকের ঘাড় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটিও উধাও। তিনি কলকাতায় পরিচারকের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ‘ইনসাফে’র দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। তদন্তকারীদের অনুমান, খুনি ওই যুবকের ফোন নিয়ে পালিয়েছে। সবকিছু তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

যুবক আসানসোলের বাসিন্দা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব‌্যবসায়ী কুশাল ছাবরার ফ্ল‌্যাটে পরিচারক হিসাবে কাজ করছেন। কুশলের লেনিন সরণিতে ওয়ালপেপারের দোকান রয়েছে। চারু মার্কেট ওই  আবাসনের ছয় তলায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই বাড়িতে অবিনাশ একাই ছিলেন। ব‌্যবসায়ীর স্ত্রী ও ছেলে বাপের বাড়িতে গিয়েছেন। ব‌্যবসায়ীও দোকানে ছিলেন। দুপুর থেকে যুবককে ফোন করছিলেন কুশল। কিন্তু তিনি ফোন না তোলায় গাড়ির চালককে ফ্ল‌্যাটে পাঠান খোঁজ নিতে পাঠান ব্যবসায়ী। চালক ফ্ল‌্যাটে যান। দেখেন দরজা লক করা। ফ্ল‌্যাটের ডোরবেল বাজান। কিন্তু ফ্ল‌্যাটের দরজা খুলছিলেন না পরিচারক। তারপর চালক নীচে এসে আবাসনের কেয়ার টেকারকে বিষয়টি জানান। কেয়ার টেকার ফ্ল‌্যাটের নকল চাবি নিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখেন, পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে।

খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাকে। দেহের আঘাত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগকে। এদিন স্নিফার ডগ নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়। ফ্ল‌্যাটের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, এদিন ওই ফ্ল‌্যাটে কেউ একজন ঢুকেছিলেন। পরিচারকের পরিচিত কেউ হবে। পুলিশ ওই পরিচিতকে খুঁজছে। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে।

অবিনাশের পরিবারের দাবি, যুবককে খুন করা হয়েছে। যুবকের বাবা সুধীর বাউরি বলেন, “ছেলের বাড়িতে আসার কথা ছিল। তার আগেই খুন হল। কে বা কারা জড়িত জানি না। আমার ইনসাফ চাই।” অবিনাশের মা তনি বাউরির কথায়, “ছেলে দীর্ঘদিন ধরে ওই মালিকের হয়ে কাজ করছে। কী হল বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বার করুক।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার। তিনি জানান, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement