সুব্রত বিশ্বাস: জব্বলপুর থেকে সাঁতরাগাছি। হামসফর এক্সপ্রেসের দায়িত্ব ঠেলে দেওয়া হল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ঘাড়ে। ঠিক ছিল এই রেলের সূচনা হবে পশ্চিম-মধ্য রেলের জব্বলপুর থেকে। রেলবোর্ড ও পশ্চিম-মধ্য রেলের অপারেশন বিভাগের মতানৈক্য ও সমন্বয়ের অভাবে ট্রেনটি সূচনার দায়িত্ব নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। আর তার জেরেই ট্রেনটিকে ঠেলে দেওয়া হল দক্ষিণ-পূর্ব রেলে।
[ এনজেপি নয়, দার্জিলিং মেল এবার ছাড়বে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে! ]
জব্বলপুর থেকে সাঁতরাগাছির মধ্যে সাপ্তাহিক একটি ট্রেন আগে থেকেই চলত। বদলে হামসফর এক্সপ্রেসের মতো বিলাসবহুল ট্রেনটি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কথা ছিল, আধুনিক সরঞ্জাম ও এলএইচবি কোচের সম্পূর্ণ বাতানুকুল ট্রেনটি পরিচালনা করবে জব্বলপুর ডিভিশনই। কোচ রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব পালনে পশ্চিম-মধ্য রেলের ওই ডিভিশনে উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। পাশাপাশি রেক কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের চাপও বেশি পড়বে না। ফলে উপযুক্ত মানের রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে। সেইমতো হামসফরের রেকটি একমাস ধরে জব্বলপুরেই পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে ট্রেনটি জব্বলপুর-কোয়েম্বাটুরের মধ্যে চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল হয়ে জব্বলপুর-সাঁতরাগাছির মধ্যে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[ রেল বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা, মেট্রো সম্প্রসারণ কার্যত হিমঘরে ]
এরপরই মেনটেইন্যান্স ও অপারেশন বিভাগের মধ্যে নানা বিপত্তি দেখা দেয়। গড়িমসি শুরু হয় চলাচলের দিনক্ষণ নিয়েও। তাতেই রেলবোর্ড অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে। নির্দেশ দেওয়া হয়, জব্বলপুর থেকে নয়, ট্রেনটি চলবে সাঁতরাগাছি থেকে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আওতায় ট্রেনটির দায়িত্ব আসায় যথেষ্ট চিন্তিত এই রেলও। অপারেশন বিভাগের কর্মীদের কথায়, অন্তিম স্টেশন হাওড়া হওয়ায় অসংখ্য ট্রেন ওই রেলের আওতায়। কর্মী সংখ্যা কম হলেও রক্ষণাবেক্ষণের প্রচুর চাপ। এর মধ্যে ওই বিলাস,বহুল ট্রেন দায়িত্বে আসায় বাড়তি চাপ পড়বে। রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটি বিচ্যুতি এড়াতে রেল যখন তৎপর হতে বলছে, তখন কর্মী সংখ্যা কম থাকায় সুরক্ষায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা। এই ট্রেনটি সম্পূর্ণ আভিজাত্যে মোড়া. বর্তমান রেলমন্ত্রকের স্বপ্নের প্রকল্পই বলা যায়। তবে তাকে ঘিরে যেরকম টানাটানি পড়েছে তা প্রায় বেনজির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.