সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই সোজা গিয়েছিলেন থানায়। আইনজীবির কথা মতো আদালতে করেছেন আত্মসমর্পণ।আগাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বটে কিন্তু কাছের বন্ধুকে হারাবার শোক থেকে এখনও মুক্তি পাননি। তাও এর মধ্যেই সাংবাদিকদের সামনে এলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, যেটা হয়েছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। পাশে থাকার আর্জি জানিয়ে অভিনেতার মন্তব্য, ‘কোথাও পালাচ্ছি না, এখানেই থাকছি’।
শুক্রবারই সাংবাদিকদের সামনে আসবেন আগে থেকেই জানিয়েছিলেন বিক্রম। মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে এসেছিলেন অভিনেতা। কথা বলার সময় বারবার গলা ধরে যাচ্ছিল তাঁর। তাও বলে গেলেন, সনিকার মৃত্যুতে তাঁর জীবনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে তাঁর দুঃখ সনিকার ম-বাবার দুঃখের সামনে কিছুই নয়। তবুও তাঁদের সামনে একবার গিয়ে দাঁড়াতে চান তিনি। তাঁদের কষ্ট একটু হলেও লাঘব করতে চান বিক্রম।
[আদালতে আত্মসমর্পণ বিক্রমের, ১,০০০ টাকার বন্ডে আগাম জামিন অভিনেতার]
দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন অনেক উঠেছিল। কেন বিক্রম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েও ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন? মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন কি তিনি? গাড়ির অতিরিক্ত গতিই কি প্রাণ কেড়ে নিল সনিকার? সমস্ত রটনা মিথ্যে বলে দাবি করলেন অভিনেতা। তাহলে আসলে কী ঘটেছিল সেদিন? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এদিন দিলেন না অভিনেতা। কারণ পুরো বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। তাই এই বিষয়ে এখনই প্রকাশ্যে বলতে পারবেন না তিনি। এতদিন হাসপাতালে ছিলেন। কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এখন শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। তাই সবার আগে গিয়ে পুলিশের কাছে সম্পূর্ণ বয়ান দিতে চান তিনি। সেখানেই সব বলবেন।
[পশ্চিমবঙ্গে নিরাপদ নয় আদিবাসীরা, অভিযোগ বিজয়বর্গীয়র]
জনপ্রিয় সিরিয়ালের সঙ্গে জড়িত তিনি। ‘ইচ্ছেনদী’র অনুরাগ হিসেবে এতদিন দর্শকদের প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন। হঠাৎ এই দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সেই ভূমিকা নিয়েও। জানালেন, খুব শিগগিরিই কাজে যোগ দিতে চান তিনি। কারণ এই কাজের সঙ্গে শুধু তিনি নন, জড়িয়ে রয়েছে আরও অনেকগুলো মানুষের ভবিষ্যত। তাই নতুন শুরুর জন্য সকলকে পাশে চাইলেন অভিনেতা।
[নির্ভয়া কাণ্ডে চার দোষীর ফাঁসির সাজা বহাল সুপ্রিম কোর্টের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.