ফাইল ছবি।
সুদীপ রায়চৌধুরী: লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Additional Chief Electoral Officer) অমিত রায়চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছিল নির্বাচন কমিসন। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে এলেন দিব্যেন্দু দাস (Dibyendu Das)। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কমিশন। বর্তমানে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন আইএএস আধিকারিক দিব্যেন্দু।
বিরোধী শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার অমিত রায়চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে সরায় নির্বাচন কমিশন। তাঁর পাশাপাশি রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছিল, এই দুই আধিকারিকই ডব্লিউবিসিএস অফিসার। গত ১০ বছর ধরে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্বে ছিলেন অমিত রায়চৌধুরী। অন্যদিকে, যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ৬ বছর ধরে। সূত্রের খবর, অনেক বছর ধরে দায়িত্বে থাকা এই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিকরা দায়িত্বে থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। তাঁর অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশনের তরফে সরিয়ে দেওয়া হয় দুই আধিকারিককে।
দুই ডব্লিউবিসিএস আধিকারিককে সরানোর পর তাঁদের জায়গায় নতুন আধিকারিক নিয়োগ করতে নবান্নের কাছে নাম চেয়ে পাঠায় কমিসন। রাজ্য সরকারের পাঠানো নামের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় পরিবহণ দফতরের ডিরেক্টর পদে কর্মরত দিব্যেন্দু দাসকে। যদিও যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদে এখনও কোনও নাম ঘোষণা করেনি কমিশন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে আধিকারিকদের রদবদল প্রক্রিয়া জারি রয়েছে কমিশনের তরফে। এর আগে গত ১৮ মার্চ রাজীব কুমারকে সরিয়ে রাজ্যের ডিজিপি করা হয়েছিল বিবেক সহায়কে। পরদিন, ১৯ মার্চ তাঁকেও সরিয়ে বাংলার নয়া ডিজিপি হন আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। এরপর থেকে দফায় দফায় রাজ্যের একাধিক পুলিশ সুপার ও জেলা শাসককে বদল করা হয়েছে কমিশনের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.