অর্ণব আইচ: শহরে ফাঁকা জমিতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করে চলছিল বেআইনি গ্যাস ‘রিফিলিং সেন্টার’। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মোহন রাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)-এর গোয়েন্দারা।
[বিসিসিআইকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না, আইসিসি-র রায়ে মুখ পুড়ল পাক বোর্ডের]
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বেনিয়াপুকুর রোডের উপর একটি ফাঁকা জমি দখল করেন ওই ব্যক্তি। এখানেই বেআইনি ‘রিফিলিং সেন্টার’ তৈরি করে ফেলেন। তার জন্য জোগাড় করেন রিফিলিং পাইপ ও ওজন মেশিন। পূর্ব কলকাতার বেশ কয়েকটি রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার ডেলিভারি ম্যানকে হাত করে বেশি দামে জোগাড় করত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার। তার মূল খদ্দের ছিল কয়েকটি খাবারের দোকান। সেই দোকানের মালিকরা ফাঁকা ‘কমার্শিয়াল সিলিন্ডার’ নিয়ে আসতেন মোহনের কাছে। এবার পেট্রোলপাম্পের আদলেই চলত সিলিন্ডার রিফিলিংয়ের কাজ। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ওজন করার যন্ত্র দিয়ে মাপা হত। এর পর বিশেষ রিফিলিং পাইপের সাহাযে্য রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এলপিজি বা গ্যাস ওই ‘কমার্শিয়াল সিলিন্ডার’-এ চাহিদামতো ভরতি করা হত। লিটার অনুযায়ী টাকা দিয়ে এই গ্যাস কিনতে হত। আবার অটোচালকরাও এই গ্যাসে গাড়ি চালাতেন কি না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়েন্দারা ওই জায়গাটিতে তল্লাশি চালান। পাঁচটি রান্নার গ্যাস ও তিনটি কমার্শিয়াল গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে রিফিলিং পাইপ ও ওজন যন্ত্র। ধৃতকে জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খোদ শহরের বুকে এহেন কীর্তিকলাপ চমকে দিয়েছে প্রশাসনকে। মনে করা হচ্ছে এমন আরও বেআইনি গ্যাস ‘রিফিলিং সেন্টার’ থাকতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এই সেন্টারগুলিতে দাহ্য পদার্থ নিরাপদে রাখার কোনও ব্যবস্থা থাকে না। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
[দুধের শিশুর উপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.