ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: ভুয়ো নথির মাধ্যমে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে থেমে থাকেনি অপরাধীরা। সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিদেশ সফরও করেছে অনুপ্রবেশকারীরা। পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এমন ৪০ জন অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে লালবাজার।
শহরে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে ইতিমধ্যেই। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই জালিয়াতির প্রধান মাথা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল সংস্থার মালিক মনোজ গুপ্তাকে। একজনকে গ্রেপ্তার করতেই হদিশ মিলেছে একাধিক অভিযুক্তের। তদন্তকারীদের ধারণা ছিল, এই জালিয়াতির নেপথ্যে থাকতে পারেন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং এবং গ্রান্টিং অফিসারদের একাংশ। সেই কারণে আগেই চিঠি দিয়ে রাজ্যের পাঁচ পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং অফিসার ও গ্রান্টিং অফিসারদের নামের তালিকা চেয়েছিল লালবাজার। পরবর্তীতে স্ক্যানারে আসে দুই ডিভিশনের পাঁচ থানার ভেরিফিকেশন অফিসাররা অর্থাৎ ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। শুধু তাই নয়, জানা যায় ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে নাকি ভাড়া করা হত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এক একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১০ টি বেশি পাসপোর্টের আবেদন করা হয়। এবার জানা যাচ্ছে, সেই ভুয়ো পাসপোর্ট হাতিয়ার করে বিদেশে গিয়েছে অন্তত ৪০ অনুপ্রবেশকারী।
তদন্তকারীদের দাবি, এই সব ভুয়ো পাসপোর্ট ব্যবহার করে কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বই বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিদেশ গিয়েছেন অনুপ্রবেশকারীরা। যাদের ভিসা ও টিকিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল মনোজ গুপ্তা। তাঁর ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল সংস্থার তরফে বিদেশ যাত্রার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে দূতাবাস থেকেও ভিসা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে উদ্যোগ নিয়েছে লালবাজার। যদিও এই ৪০ জন অনুপ্রবেশকারীর পাসপোর্টে যে ঠিকানা রয়েছে সেই সব ঠিকানা ভুয়ো। অর্থাৎ যে নামে পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে সেই নামে কোনও ব্যক্তি উল্লিখিত ঠিকানায় থাকেন না। আবার বেশ কিছু ঠিকানার অস্তিত্বই নেই। কারা কারা ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ সফরে গিয়েছে, তাঁদের সন্ধান পেতেই এবার কোমর বেঁধে নামল লালবাজারের তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.