রমেন দাস: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের মৃত্যু কীভাবে? প্রকাশ্যে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। তাতে বলা হচ্ছে, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ, অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস অর্থাৎ অগ্ন্যাশয়ে কোনও প্রদাহ হয়েছিল। তাছাড়া সৃঞ্জয়ের হৃদ্যন্ত্র, লিভার এবং কিডনির আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। সাধারণত, রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তদন্তে যা ইঙ্গিত মিলছে, তাতে সৃঞ্জয়ের মৃত্যুতে অস্বাভাবিকত্ব নেই।
মঙ্গলবার সকালে সাপুরজি আবাসনে নিজের ঘরে মিলেছে দিলীপপত্নী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয়ের দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পর ময়নাতদন্তের জন্য দেহ যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতাল সূত্রের খবর ময়নাতদন্তের ৫-৬ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয় সৃঞ্জয়ের। একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মূলত উচ্চ রক্তচাপের জন্য অগ্নাশয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেটাই সম্ভবত সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর কারণ। তবে এখনও ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি। একেবারে প্রাথমিক ধারণার উপর সিদ্ধান্তে পৌঁছনো কতটা ঠিক হবে সেটা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসকরাই।
জানা যাচ্ছে, সোমবার রাতে নাকি সাপুরজি আবাসনেই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেছিলেন ওই যুবক। গভীর রাতে বন্ধুরা তাঁর আবাসন থেকে যায় বলেই প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে খবর। তারপরই মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার যুবকের দেহ। তবে কি ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে পার্টির? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এদিকে সৃঞ্জয়ের দেহের পাশ থেকে মিলেছে কিছু ওষুধ। ওই ওষুধগুলি সম্ভবত নিয়মিত খেতেন তিনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওষুধের ওভারডোজেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এদিন ময়নাতদন্তের পর নিমতলা শ্মশানে সৃঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষও। আক্ষেপের সুরে বিজেপি নেতা বললেন, “আমার দুর্ভাগ্য, পুত্রসুখ হয়নি, পুত্রশোক হল। কী থেকে কী ঘটে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না।” হাতেগোনা কয়েকমাসের সম্পর্ক। তাতেই সৃঞ্জয় খুব কাছের হয়ে গিয়েছিল বিজেপি নেতার। একসঙ্গে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। শ্মশানে দাঁড়িয়ে সেইসব দিনের স্মৃতিচারণা করেন বিজেপি নেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.