ফাইল চিত্র
নিরুফা খাতুন: পকসো আদালতে তোলার সময় যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত পড়ুয়াকে চড় মহিলা আইনজীবীর। আইনজীবী হয়ে এভাবে বিচারাধীন বন্দির গায়ে হাত তোলায় অন্যান্য আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেন। যদিও তাতে দমে যাননি মহিলা আইনজীবী। তাঁর কথায়, “ঠিক হাতের সুখ করতে পারলাম না। এইসব ছেলেদের গলার নলির উপরে পা তুলে দেওয়া উচিত। আইনের কথা বলা হচ্ছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি থাকা সত্ত্বেও যাদবপুরে কীভাবে এই ধরণের ঘটনা ঘটল? আসলে এদের ধোলাই না দিলে র্যাগিং বন্ধ হবে না।”
যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার পকসো মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার ধৃত ১২ জনকে আলিপুর পকসো আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তদের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে ঘটনাটি ঘটে।
ওই মহিলা আইনজীবীর নাম নাম রমা দাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন যখন অভিযুক্তদের নিয়ে আসা হয় তখন পকসো আদালতের সামনে দুই আইনজীবী রমা দাস ও প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রিজন ভ্যান থেকে অভিযুক্তদের দেখে তাঁরা বলেন, এঁদের অভ্যর্থনা করব? আইনজীবী রমা বলেন, “আজ ওদের মারব। ধৃতরা আদালতে ঢুকছিলেন সেই সময় রমা এক ছাত্রের পিঠে চড় মারেন। মুখের মাস্ক টেনে খুলে নেন।” জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যে ছাত্রের গায়ে আইনজীবী হাত তোলেন তাঁর নাম সত্যব্রত রায়।
উল্লেখ্য, এই আইনজীবী নাকি দেবযানী বণিক খুনের মামলায় অভিযুক্তদের আদালত চত্বরে মারধর করেছিলেন। এদিন আইনজীবী নিজেও সেকথা স্বীকার করেন। যদিও তাঁর সঙ্গে থাকা আর এক আইনজীবী প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, “গায়ে হাত তোলাকে সমর্থন করি না। র্যাগিংয়ের মত ঘটনার প্রতিবাদ করতে পকসো কোর্টের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম।” এদিনএই ঘটনার পর অভিযুক্তদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.