রিংকি দাস ভট্টাচার্য: গাছ কাটায় ইতি টানতে দু’টি ক্যাম্পাসেই গাছেদের অডিট করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিল কঠোর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে গাছ গোনা কর্মসূচি। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে কোথায় কত গাছ আছে, তা চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এস্টেট অফিসকে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন আশিস মজুমদার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এস্টেট অফিসকে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে ছোট-বড় সব ধরনের গাছের সংখ্যা নির্ধারণ করতে। কোথায় সেই সব গাছ রয়েছে, তা চিহ্নিত করার জন্য বিশেষ রং করা এবং নম্বর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অনেকটা পরিকল্পিত অভয়ারণ্যের মধ্যে যেমনটা করা হয়, সেই ঢঙে। তবে এখনই গাছগুলির নাম, পরিচয়, বয়স ঠিক করা সম্ভব হবে না। তার জন্য বনদপ্তরের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার।
ঘটনার সূত্রপাত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেটালার্জি বিভাগের কাছে একটি ২০-২২ বছরের পুরোনো মেহগনি গাছ একেবারে শিকড় থেকে কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। শিক্ষক সংগঠন জুটা বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে জানায়। যদিও প্রথমদিকে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনে নামে ছাত্র সংগঠন এসএফআই। জুটাও বিষয়টি নিয়ে লাগাতার চাপ দিয়ে যায়। চাপের মুখে এফআইআর করে বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্ত কমিটি তৈরির কথা জানান উপাচার্য।
ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে গাছ রক্ষার বিষয়ে বিশদে একটি নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে যেখানে ক্যাম্পাসে গাছ কাটা রুখতে কয়েকটি কড়া পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না-নিয়ে ক্যাম্পাসের কোনও গাছ তো কাটা যাবেই না, এমনকী, কেউ ইচ্ছেমতো ডালপালাও ছাঁটতেও পারবেন না। যদি কোথাও এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে ওই সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষী এবং আধিকারিকরা জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন। ক্যাম্পাসের সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মী, মালি এবং নিরাপত্তারক্ষীদের নাম-ঠিকানা ও সচিত্র পরিচয়পত্র আরও একবার চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাস থেকে যে যা জিনিস নিয়ে বের হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখে খাতায় লিখে ছাড়তে বলা হয়েছে রক্ষীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.