সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবেশিকা ফিরিয়ে আনার দাবি ও সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন কলাবিভাগের পড়ুয়ারা। আজ অনশনরত ছাত্রদের মুখোমুখি হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। সেখানে কৌশলী অবস্থান নেন উপাচার্য। জানান, কর্মসমিতির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি বাধ্য। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত যে নেননি তা প্রকারন্তরে খোলসা করে দেন।
[ এবার বাড়িতে বসেই থানায় অভিযোগ দায়ের, নয়া অ্যাপ চালু করল কলকাতা পুলিশ ]
এদিন পড়ুয়াদের সামনে গিয়ে খানিকটা আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন উপচার্য। বলেন, কর্মসমিতির বৈঠেক যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উপাচার্য হিসেবে সেই সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি বাধ্য। কর্মসিমিতি সিদ্ধান্ত নিলে আর কিছু করার নেই বলেই মত তাঁর। তবে তাঁর নিজের এ বিষয়ে মত ছিল কি না, বা তিনি প্রবেশিকার পক্ষে না বিপক্ষে, সে প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। বরং ইঙ্গিত দিয়েছেন পদত্যাগের। জানিয়েছেন, তিনি পুরো পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়তো ব্যর্থ হয়েছেন। অন্য কেউ চেয়ারে বসলে আরও ভাল কিছু করতে পারতেন। তবে, পদে থেকে যতটুকু করা সম্ভব তাই তিনি করছেন। পুরো পরিস্থিতি আচার্যকে তিনি জানিয়ে এসেছেন বলেও এদিন পড়ুযাদের জানিয়ে দেন সুরঞ্জনবাবু।
[ কলকাতা বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজাতে তৎপর কেন্দ্র, শহরে এসে দাবি সুরেশ প্রভুর ]
তবে কি উপাচার্যের পদত্যাগ আসন্ন? এ প্রশ্নের উত্তরে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে জানানো হচ্ছে, তাঁরা কখনওই উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছেন না। সেটা তাঁদের কাম্যও নয়। তাঁদের দাবি, পদে থেকেই উপাচা্র্য যেন যাদবপুরের স্বাধীকার রক্ষা করেন। সরকারি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করেন। তবে এদিন শিক্ষক-পড়ুযা মুখোমুখি হলেও সুরাহা কিছুই হয়নি। প্রবেশিকা যে ফিরবে এরকম কোনও সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। আর তা যতক্ষণ না দেখা যাচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই পড়ুয়ারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এদিকে এই ভরতি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি চাইছেন অধ্যাপকদেরও একাংশ। ফলে যাদবপুরের অচলাবস্থা আরও ঘোরতর হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে উপাচার্যের তরফে কোনও বার্তা না আসায় পড়ুয়ারা অসন্তুষ্ট ছিলেন। এদিন উপাচার্য মুখোমুখি হলেন বটে, তবে অচলাবস্থা কাটানোর মতো কোনও সমাধান দিতে পারলেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.