সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গর্বের দিনই দুঃসংবাদ। ঠিক যেদিন যাদবপুর বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় দেশের মধ্যে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রথম এবং একমাত্র স্থান দখল করল, সেদিনই জানা যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম আর্থিক সংকটের কথা। আসলে কোভিড (COVID-19) পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ অনেক বেড়েছে, কিন্তু বাড়েনি রোজগার। উলটে একাধিক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজগার কমেছে। ফলে বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চাইলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
‘কিউএস সাস্টেনেবিলিটি র্যাঙ্কিং ২০২৩’ প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবারই। এই বিভাগে প্রথমবার র্যাঙ্কিং তালিকা প্রকাশ করল কোয়াকুইরেলি সাইমন্ডস (QS)। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত মোট ৭০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকাতেই রয়েছে এ দেশের মোট ১৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে একমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই নাম জ্বলজ্বল করছে। বিশ্বসেরার সারিতে ঠাঁই পাওয়া দেশের ১৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে যাদবপুর।
কিন্তু যাদবপুরের এই গর্বের দিনই জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) চরম অর্থকষ্টে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যা টাকা আসছে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আটকে রয়েছে রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের টাকা। এই সব সমস্যা বাদেও রয়েছে আরও সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয় পায়নি কেন্দ্রীয় প্রকল্প RUSA’র পুরো টাকা। ফলে চরমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলছিলেন, “যাদবপুর প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে রাজ্য সরকারের সমর্থন সব সময় পেয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির তুলনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে অনেক কম অনুদান পায়।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অর্থসংকট মেটাতে শেষপর্যন্ত প্রাক্তনীদের দ্বারস্থ হচ্ছে যাদবপুর। ইতিমধ্যেই গ্লোবাল অ্যালামনি ফাউন্ডেশনের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় এখন চরম অর্থসংকটে। অর্থের অভাবে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই প্রাক্তনীদের কাছে সাধ্যমতো সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, নানা জায়গায় মন্দা। অঢেল অর্থ যে দেওয়া যায়, সেটা হয় না। সেকারণেই সম্ভবত এই সংকট। তবে প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চাওয়াটা ইতিবাচক বলেই দাবি করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.