ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাজে যোগ দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুক্রবার মাঝরাতে জরুরি বিভাগে কাজ শুরু করেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। কেউ কেউ অবশ্য শনিবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ৮ আগস্ট, আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের নাইট শিফট ছিল। পরদিন ওই হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর সুবিচারের দাবিতে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হন তাঁরা। একাধিক টালবাহানার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। ঘটনার ৪১ দিনের মাথায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পর আংশিকভাবে কাজে ফেরেন তাঁরা।
ইতিমধ্যে গত মাসের শেষে ফের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি হয়। সেই রাতেই জিবি মিটিং করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এর পর শুক্রবার এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনায় বসেন তাঁরা। সেখানেই দাঁড়িয়ে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সেই মতো মাঝরাত থেকে কাজে ফেরেন তাঁরা। অস্ত্রোপচারের কাজেও যোগ দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ-সহ দশ দফা দাবিতে রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেন। শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার পর থেকে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.